ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

বাগেরহাটে ইলিশ বাজারে ভিড়, দামও চড়া

আলী আকবর টুটুল, বাগেরহাট || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৫, ১৪ অক্টোবর ২০২০  
বাগেরহাটে ইলিশ বাজারে ভিড়, দামও চড়া

ইলিশ ধরা ও বিপণন বন্ধের শেষদিনে বাগেরহাটের সামুদ্রিক মাছ কেনাবেচায়   পাইকারি আড়ত কেবি বাজারে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) ফজরের পর থেকেই ক্রেতা-বিক্রেতা ও জেলেদের ভিড়ে সরগরম ছিল কেবি বাজার। সবার আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল ইলিশ।

জেলেরা বলছেন, মাছের পরিমাণ কম থাকলেও বিক্রি হচ্ছিল চড়া দামে। তবে কাঙ্খিত মাছ না পাওয়ায় জেলেদের মুখে তেমন হাসি ছিল না। 

কেবি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মাছের পোন (৮০ পিস) বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের মাছের পোন ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামে মাছ ৫৫ থেকে ৬৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের মাছও বিক্রি হয়েছে। এসব মাছের পোন বিক্রি হয়েছে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায়। ইলিশের বাইরে রুপচাঁদা, সাগরের বাইলা, লইট্যা, ঢেলা চ্যালা, কঙ্কন, মেইদ, কইয়া ভোল, জাবা ভোল, জাবা, বউ মাছ, পোয়া, টোনাসহ বিভিন্ন মাছ বিক্রি হয়েছে প্রচুর। এসব মাছ আকার, আকৃতি ও চেহারা ভেদে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। তবে রুপচাঁদা সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। এই ক্রয় বিক্রয় রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন কেবি বাজার ব্যবসায়ীরা। 

সাগর থেকে মাছ ধরে আসা লতিফ, নজরুল, জাহিদসহ কয়েকজন জেলে বলেন, এ বছর ইলিশের মৌসুম শুরু হওয়ার পর প্রথম কিছুদিন মাছ বেশি পেয়েছি। তবে শেষদিকে আমরা বড় মাছ পেলেও, পরিমাণে অনেক কম পেয়েছি। ২২দিন আমরা মাছ ধরতে পারব না। এ সময়টা খুব কষ্টে যাবে আমাদের। কারণ এবার ট্রেলার মালিকরা লোকসানে পড়েছেন। ফলে এই সময়ে আমরা মহাজনের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাব না। 

মাছ ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা কেবি বাজার থেকে মাছ কিনে নিয়ে এলাকার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করি। শেষদিনে অনেকেই মাছ কিনেছেন। কিন্তু বাজার যদি ভাণো না হয় লসে পড়তে হবে। 

উপকূলীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলী বলেন, এ বছর মাছের আকার  বড় থাকলেও পরিমাণ কম ছিল। তাই জেলেরা কিছুটা বিপাকে পড়েছেন। ব্যবসায়ীরা তেমন লাভবান হতে পারবেন না। 

বাগেরহাট/টুটুল/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়