ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

নিশ্চিন্তপুরে যমুনায় ‘নিশ্চিন্তে’ ইলিশ শিকার

মো. আবু কাওছার আহমেদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০৩, ২ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৮:২৩, ২ নভেম্বর ২০২০
নিশ্চিন্তপুরে যমুনায় ‘নিশ্চিন্তে’ ইলিশ শিকার

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নের যমুনা নদীতে অবাধে ইলিশ শিকার করা হচ্ছে। শিকার করা মাছ বিক্রি করা হচ্ছে প্রকাশ্যে। 

ইলিশ মাছের বংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে মা ইলিশ রক্ষায় গত ১৪ অক্টোবর থেকে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন দেশের নদী-সমুদ্রে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। কিন্তু নিশ্চিন্তপুরের নদীতে নৌকা ভাসিয়ে ‘নিশ্চিন্তে’ ইলিশ শিকার এবং পরে তা প্রকাশ্যে বিক্রি করতে দেখা গেছে।  

জেলেরা জানান, সরকারি সহায়তা না পাওয়ায় পরিবারের খরচ যোগাতে বাধ্য হয়ে ইলিশ শিকার করছেন তারা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চললেও ইলিশ শিকার বন্ধ করতে পারছে না। 

সরেজমিন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নিশ্চিতপুর ইউনিয়নের যমুনা নদীর বিভিন্ন অংশে ১০-১৫টি নৌকায় অর্ধশতাধিক জেলে ইলিশ শিকার করছেন। শিকার করা ইলিশ নদীর তীরে বসে বিক্রি করছেন।  

হালিম বেপারি নামে এক জেলে বলেন, বন্যায় তার ঘর ভেঙে গেছে। হাতে কাজ নেই। পরিবারের সদস্যদের খাবার জোগাড় করতে ইলিশ ধরতে নেমেছেন। সরকার ইলিশ ধরা বন্ধ করলেও তাদের কোনো আর্থিক সহায়তা করেনি বলে জানান তিনি। 

অপর জেলে আব্দুল কাশেম বলেন, অভাবে পড়ে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ইলিশ ধরতে নেমেছেন। প্রশাসনের লোকজন আসার খবর পেলে তারা নদী থেকে চলে আসেন, পরে আবার ইলিশ ধরতে নামেন। 

মৎস্য বিভাগের পাশাপাশি যমুনা তীরবর্তী পাঁচ উপজেলার প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাও ইলিশ শিকার থামানো যাচ্ছে না। 

টাঙ্গাইল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, টাঙ্গাইলে ১৮ হাজার জেলের মধ্যে সাড়ে ৫ হাজার ইলিশ শিকার করেন। সরকারের বিশেষ ত্রাণ তহবিল থেকে পাঁচ উপজেলায় ৩৭ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। জেলার ১৭৮১ জেলের প্রতি পরিবারের জন্য ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। চাল পাওয়ার পরও অনেকে ইলিশ শিকার করছেন। ইলিশের দাম বেশি হওয়ায় লোভে পড়ে তারা বার বার শিকারে যান।  

তিনি জানান, এ পর্যন্ত জেলায় ৩৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এতে ১৩৮ কেজি ইলিশ জব্দ করা এবং ৮ লাখ মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। ৬৬ জেলের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।  

নাগরপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা তারিন মসরুর বলেন, নিশ্চিন্তপুর গ্রামে ইলিশ ধরার বিষয়টি তার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
 

ঢাকা/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়