ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

কুষ্টিয়ায় ট্রিপল মার্ডার: কারণ খুঁজছে পুলিশ 

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪৭, ১৩ জুন ২০২১   আপডেট: ০০:০৮, ১৪ জুন ২০২১
কুষ্টিয়ায় ট্রিপল মার্ডার: কারণ খুঁজছে পুলিশ 

ঘটনাস্থল (ইনসেটে আটক এএসআই সৌমেন)

কুষ্টিয়া শহরের কাস্টমস মোড়ে প্রকাশ্যে নারী ও শিশুসহ তিনজনকে গুলি করে হত‌্যার কারণ খুঁজছে পুলিশ। হত্যার অভিযোগে উপসহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন রায়কে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে।

রোববার (১৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে শহরের পিটিআই সড়কের কাস্টমস মোড়ে তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়। কেন এই নৃশংস হত‌্যাকাণ্ড তা জানতে কাজ করছে পুলিশ।

নিহতরা হলেন, কুমারখালী উপজেলার সাওতা গ্রামের মেজবার খানের ছেলে বিকাশকর্মী শাকিল খান (২৮), একই গ্রামের আসমা খাতুন (৩৪) ও তার ছেলে রবিন। আসমা পুলিশ কর্মকর্তা সৌমেনের স্ত্রী। আসমার এটা দ্বিতীয় বিয়ে। আসমার আগের ঘরের সন্তান রবিন। 

পুলিশ জানিয়েছে, সৌমেন মিত্র খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত। পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে এ হত‌্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। তবে প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত করা হচ্ছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আসমা খাতুন, তার ছেলে রবিন ও শাকিল কাস্টমস মোড়ে মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এমন সময় সৌমেন এসে পিস্তল দিয়ে প্রথমে আসমাকে গুলি করেন। এরপর গুলি করেন শাকিলকে। এটা দেখে রবিন পালানোর চেষ্টা করলে তাকেও গুলি করেন। তখন স্থানীয়রা ধাওয়া দিলে সৌমেন তিনতলা একটি ভবনে ঢুকে পড়েন। পরে ওই ভবন লক্ষ‌্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে স্থানীয়রা। এক পর্যায়ে তারা সৌমেনকে আটক করে পুলিশে তুলে দেন। স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ তিনজনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। 

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক তাপস কুমার সরকার জানান. গুলিবিদ্ধ নারী, শিশু ও যুবককে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাদের মৃত ঘোষণা করেন। 

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সৌমেনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

কাঞ্চন কুমার/ইভা/বকুল  

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়