যৌতুকের মামলায় কাস্টমস কর্মকর্তা কারাগারে

জয়পুরহাটে স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় জুবায়ের রহমান নামে এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জয়পুরহাট চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর আলম এ আদেশ দেন।  

এ সময় আসামি পক্ষে এ্যাডভোকেট মাকসুদ ও বাদী পক্ষের আইনজীবি হিসেবে এ্যাডভোকেট মানিনক হোসেন শুনানিতে অংশ নেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

জুবায়ের রহমান সাতক্ষীরা সদরের পলাশপোল এলাকার কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনী থেকে জানা গেছে, ২০১৪ সালে কালাই উপজেলার বিনইল গ্রামের আজগর আলীর মেয়ে স্কুল শিক্ষিকা খাইরুন নেছার সঙ্গে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার জুবায়ের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় খাইরুন শিক্ষিকা হিসেবে চাকরি করলেও জুবায়ের ছিলেন বেকার।  পরবর্তীতে জুবায়ের একটি ব্যাংকে কিছু দিন চাকরি করেন।  পরে তিনি শেষে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।

এর মধ্যে জুবায়ের প্রথম বিয়ে গোপন করে এক নারী চিকিৎসককে বিয়ে করেন।  বিষয়টি গোপন রেখে জুবায়ের  কিছু দিন ধরে খাইরুনের বাবার বাড়ি বিনইল গ্রামে আসা যাওয়ার করতে থাকেন।  এরই এক পর্যায়ে খাইরুনের পরিবারের  কাছে জুবায়ের ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।  

আজ মঙ্গলবার জুবায়ের জামিন লাভের জন্য আদালতে হাজির হলে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেন।  এবং তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।

আনামী পক্ষে আইনজীবি ছিলেন এ্যাডভোকেট মাকসুদ ও বাদী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন এ্যাডভোকেট মানিনক হোসেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।