ঢাকা     বুধবার   ০৮ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

দিনাজপুরে বৃষ্টি আর বাতাসে ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা

দিনাজপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৪৯, ১৭ মে ২০২২   আপডেট: ১৩:১৪, ১৮ মে ২০২২

দিনাজপুরে গত কয়েকদিনের বৃষ্টি আর বাতাসের কারণে পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বাতাসের তীব্রতায় অনেক জমির পাকা ধান মাটিতে নুইয়ে পড়েছে। ফলে কৃষকরা আশঙ্কা করছেন এবার তারা ধান উৎপাদনে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।

জানা গেছে, দিনাজপুরের হিলি, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ ও ঘোড়াঘাটের বোরো চাষিদের ধান ক্ষেতে জলাবন্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ধান কাটা-মাড়াই করতে শ্রমিকদের মজুরি দিতে হচ্ছে বিঘাপ্রতি (৫০ শতক) ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। আবার বাজারে সেই ধান বিক্রি করতে গিয়ে ঠিক দাম পাচ্ছেন না তারা।

মঙ্গলবার (১৭ মে) সকালে হিলি ও ঘোড়াঘাট উপজেলার বিভিন্ন বোরো ক্ষেত ঘুরে দেখা যায়, কয়েক দিনের বৃষ্টি এবং বাতাসে ধানের গাছ মাটিতে নুইয়ে পড়েছে। এছাড়া ক্ষেতে পানি জমে রয়েছে। 

হিলি-ঘোড়াঘাট সড়কের সাতনী ও ডুগডুগি এলাকার জামিল আক্তার, মইনুল, লিচু মিয়া ও সাদেক আলীসহ কয়েক জন  কৃষক রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘এবার ইরি (বোরো) ধান চাষ করে আমরা বিপদে পড়েছি। বর্ষার পানি আর বাতাসে সব আশা আমাদের নষ্ট হয়ে গেছে। সব ধান ক্ষেতে পানি জমে রয়েছে।  শ্রমিক পাচ্ছি না, যদিও পাচ্ছি তাদের অনেক দাম দিতে হচ্ছে। ক্ষেত ডুবে থাকায় জমির ধান কাটা-মাড়াই করতে বিঘাপ্রতি (৫০ শতকে) ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা লাগেছে। ধান লাগানো থেকে কাটা-মাড়াই পর্যন্ত যত খরচ হচ্ছে তাতে আমাদের অনেক লোকসান হবে।

কয়েকজন শ্রমিক বলেন, বর্ষার কারণে মাঠে ধান কাটতে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। যেসব জমির ধান পানিতে ডুবে গেছে এবং মাটিতে শুয়ে পড়েছে যেসব জমিতে ধান কাটতে মজুরি নিচ্ছি ১০ হাজার টাকা। কারণ ওই সব জায়গায় আমাদের বেশি কষ্ট করতে হচ্ছে। আবার যেসব জমিতে পানি ওঠেনি সেসব জমির ধান কাটা-মাড়াই করতে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা নিচ্ছি।’ 

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মমতাজ সুলতানা বলেন, ‘কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বোরো ধান মাটিতে পড়ে গেছে এবং পানিতে অনেক ধানাজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলার আলীহাট ইউনিয়নে বেশি ধানের ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ১০ হেক্টর মতো জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে। আমি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা সংগ্রহ করছি। আগামী আমন মৌসুমে ওইসব ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনামূল্য সার, বীজসহ বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হবে। এবার চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ৭ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে।

মোসলেম/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়