ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

গোপালগঞ্জে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫৬, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২  
গোপালগঞ্জে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে অনুষ্ঠিত হলো ৪৯তম জাতীয় স্কুল ও মাদরাসা পর্যায়ের গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগীতা। মুকসুদপুর উপজেলা প্রশাসন এ প্রতিযোগীতার আয়োজন করে।

মুকসুদপুর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অনুষ্ঠিত ছেলেদের বিভাগে ফুটবলের ফাইনাল খেলায় বাটিকামারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ঝুটিগ্রাম ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা মুখোমুখি হয়। আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণের মধ্যে দিয়ে চলে এ খেলা। তবে গোল মিসের মহগড়ার শেষ দিকে জাল কাপিয়ে শিক্ষাক-শিক্ষার্থী আর দর্শকদের উচ্ছাসে ভাসায় বাটিকামারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খোলোড়ারা। ১-০ গোলে ঝুটিগ্রাম ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা।

এর আগে একই মাঠে মেয়েদের বিভাগের ফাইনালে সুরপী সালিনাবক্স উচ্চ বিদ্যালয় ও কহলদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মুখোমুখি হয়। নির্ধারিত সময় খেলা গোল শূন্য থাকলে ম্যাচটি ট্রাইবেকারে গড়ায়। সেখানে সুরপী সালিনাবক্স উচ্চ বিদ্যালয় ৪-২ গোলে কহলদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে এ ফুটবল খেলা উপভোগ করেন। এসময় বৃষ্টি উপক্ষো করে শত শত দর্শক হাজির হন মাঠে। আনন্দ-উল্লাস ও হাত তালি দিয়ে দর্শকরা উপভোগ করেন খেলা। 

পরে ফুটবল, হাডুডু ও ভলিবল বিভাগের চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জোবায়ের রহমান রাশেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান কাবির মিয়া, পৌর মেয়র আশ্রাফুল আলম শিমুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাপসী রানী দূর্গা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোবায়ের রহমান রাশেদ জানান, ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় উপজেলার ৫৮টি স্কুল ও মাদরাসা অংশগ্রহন করে। শিক্ষার্থীরা প্রাণবন্ত হয়ে এ প্রতিযোগীতায় অংশ নেন। পড়ালেখার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার প্রয়োজন। আগামীতেও এ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হবে।

জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, শিক্ষকদের শিক্ষাদান শুধু স্কুলের মধ্যে নয়। স্কুলের বাইরেও শিক্ষাদানের প্রয়োজন আছে। যে কারণে শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের মাঠমুখি করা। এ প্রতিযোগীতার মাধ্যমে তরুণ ও যুব সমাজ মোবাইল ফোনের আসক্তি থেকে মুক্তি পাবে। তরুণ ও যুবকদের মাঠমুখি করতে আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। 

বাদল/ মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়