ইন্দুরকানীতে ঝুঁকিপূর্ণ পুল দিয়ে যাতায়াত
পিরোজপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পুলটি পারাপার করছেন শিশুসহ হাজারো মানুষ
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীর খেজুরতলা বাজার সংলগ্ন পুলিটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। স্লিপার ভেঙে যাওয়ায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীসহ কয়েক হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়েই পুলটির ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে।
উপজেলার পত্তাশী ও ইন্দুরকানী সদর ইউনিয়নের ঘোষেরহাট-পত্তাশী সড়কের খেজুরতলা বাজার সংলগ্ন খালের ওপর এলজিইডি নির্মিত পুলটির বর্তমানে এ করুন দশা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্লিপার ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা পুলটির ওপর কাঠ লাগিয়ে পারাপার হচ্ছেন। এতে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে। পুলটির পশ্চিম প্রান্তে খেজুরতলা বাজার, পত্তাশী এস দাখিল মাদরাসা, খেজুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ এবং পূর্ব প্রান্তে ঘোষেরহাট বাজার রয়েছে। এছাড়া এ পুল ব্যবহার করে পত্তাশী, রামচন্দ্রপুর, ভবানীপুর, চরনীপত্তাশী, হোগলবুনিয়া গ্রামসহ আশপাশের এলাকার হাজারো বাসিন্দা যাতায়াত করছেন। পুলটি জনগুরুত্বপূর্ণ হলেও সেদিকে কর্তৃপক্ষের নজর নেই বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
খেজুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র মো. জাকারিয়া হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন ওই ভাঙা পুল দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। মাস খানেক আগে পুল পার হতে গিয়ে পায়ে আঘাত পাই। এতে কয়েকদিন স্কুলে যেতে পারিনি।’
খেজুরতরা বাজারের ব্যবসায়ী সোহেল তালুকদার বলেন, ‘পুলটি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা অবস্থায় থাকায় রিকশা ও ভ্যান যেতে চাই না। ফলে মালামাল পরিবহনে খরচও বেশি লাগে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পুরাতন পুলের জায়গায় নতুন একটি পুল বা সেতু নির্মাণ প্রয়োজন।’
রামচন্দ্রপুরের ইউপি সদস্য মো. জুবায়ের তালুকদার বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে পুলটির স্লিপার ভাঙা অবস্থায় থাকলেও সরকার এটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। নিজেরা সংস্কার করে জোড়াতালি দিয়ে পুলটি পারাপার করা লাগছে।’
উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী লায়লা মিথুণ বলেন, ‘পুলটি জনগুরুত্বপূর্ণ। একাধিক প্রকল্পে সেতুটির প্রাক্কলণ দেওয়া আছে। কিন্তু বরাদ্দ না আসায় নতুন পুল নির্মাণ করা যাচ্ছে না।’
তাওহিদুল/ মাসুদ
আরো পড়ুন