ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

মেহেরপুরে বেড়েছে সরিষা চাষ

মহাসিন আলী, মেহেরপুর  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩২, ১৯ জানুয়ারি ২০২৩  
মেহেরপুরে বেড়েছে সরিষা চাষ

ছবি: রাইজিংবিডি

ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে মেহেরপুরে সরিষা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। গত বছরের তুলনায় এ জেলায় এবার এক হাজার ৭৪০ হেক্টর বেশি জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। ছাড়িয়েছে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা। অনুকূল আবহাওয়া আর বাজারে চাহিদা ও ন্যায্যমূল্য থাকায় সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন কৃষকরা।

মেহেরপুর কৃষি অফিস বলছে, স্থানীয়ভাবে তেলের ঘাটতি পূরণের জন্য কৃষি বিভাগ প্রণোদনা ছাড়াও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় এবছর ৫ হাজার ৮৩০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় এক হাজার ৭৪০ হেক্টর বেশি। কৃষকরা স্থানীয় জাতের পাশাপাশি বারি সরিষা ১৪, ১৫, ১৭, বিনা ৯, ৪, ১১ এবং টোরি ১৭ জাতের সরিষা চাষ করেছেন।

আরো পড়ুন:

কয়েক বছর ধরে ক্রমাগত ভোজ্য তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও বাজারে সরিষার চাহিদা থাকায় চাষিরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন সরিষা চাষে। অনেকেই দো-ফসলি জমিতে সরিষা আবাদ করছেন। আবার অনেকেই সাথী ফসল হিসেবেও সরিষা আবাদ করছেন।

মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার গৌরীনগরের কৃষক আমজাদ হোসেন জানান, তিনি দেড় বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। এতে খরচ হয়েছে এক হাজার ৫০০ টাকা। আবহাওয়া ভালো থাকলে ৩৫-৪০ হাজার টাকায় সরিষা বিক্রি করতে পারবেন। পাশাপাশি বাড়িতে তেল খেতে পারবেন।

কৃষক আব্দুল হামিদ বলেন, বর্তমানে সরিষার দাম ভালো। সেই সঙ্গে বেড়েছে তেলের দাম। ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বেশি লাভের জন্য এবার আড়াই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি।

মেহেরপুর সদর উপজেলার গহরপুর গ্রামের কৃষক আমিনুল হক জানান, তিনি এবার দেড় বিঘা জমিতে রাই এবং দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। একই গ্রামের কৃষক মাহাব্বত আলী জানান, সরিষা চাষে খরচ এবং পরিশ্রম দুটোই কম লাগে। ফলনও ভালো হয়। বর্তমানে সরিষারবাজার দাম ভালো।

মধু সংগ্রহ করতে আসা মাগুরা জেলার নূরুল হক বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় মুজিবনগর উপজেলার গৌরীনগর গ্রামের বিল নাগার মাঠে অনেক সরিষার আবাদ হয়েছে। তাই মৌমাছি ও মধুর ১০০ বক্স নিয়ে মধু সংগ্রহের জন্য আসছি। মৌমাছি সরিষার ফুলে বসলে সরিষার পরাগায়ন হয়। এখান থেকে প্রতি সপ্তাহে ২০০ কেজি সরিষার মধু সংগ্রহ করা যায়। যার বাজার মূল্য এক লাখ টাকা। এই মধু সংগ্রহ করে আমরা লাভবান হচ্ছি। পাশাপাশি সরিষার ফলনও ভালো হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা সামসুল আলম বলেন, স্থানীয়ভাবে তেলের ঘাটতি পূরণের জন্য কৃষি বিভাগ প্রণোদনা ছাড়াও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে। গেল বছরের তুলনায় এ বছর সরিষার আবাদ বেশি হয়েছে।

/মহাসিন/সাইফ/

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়