পাঁচ দিনেও খোঁজ মেলেনি নিখোঁজ ছাত্রীর
নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর || রাইজিংবিডি.কম
![পাঁচ দিনেও খোঁজ মেলেনি নিখোঁজ ছাত্রীর পাঁচ দিনেও খোঁজ মেলেনি নিখোঁজ ছাত্রীর](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2023January/Jessore-Risingbd-Map-2301280440.jpg)
পাঁচ দিন গত হলেও যশোরের মণিরামপুর থেকে নিখোঁজ হওয়া স্কুল ছাত্রীর সন্ধান মেলেনি। সে কোথায় কেমন আছে তা জানতে এবং সন্তানকে ফিরে পেতে ব্যাকুল হয়ে পড়েছে ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করতে গেলে তা গ্রহণ করা হয়নি বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের অসিত কুমার দাসের একমাত্র মেয়ে অথৈ মণিরামপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। অসিত কুমার দাস দুর্বাডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৩ জানুয়ারি সকালে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় অথৈ। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ। পরিবারের দাবি তাকে অপহরণ বা ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে মনোহরপুরের বখাটে যুবক সান কুমার তারক ও তার পরিবারের সদস্যরা জড়িত। ঘটনার দিন তাদের (অথৈ ও তারক) কেশবপুরে দেখা গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এছাড়া ওইদিনের পর থেকে তারক দাসের ব্যবহার করা সবগুলো মোবাইল নম্বর বন্ধ রয়েছে। এব্যাপারে ওই দিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন অসিত কুমার দাস। অভিযোগটি তদন্ত করছেন মণিরামপুর থানার এস আই আব্দুল মান্নান।
অসিত কুমার দাস সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ঘটনার দিন থানায় মামলা করতে গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামলা গ্রহণ না করে অভিযোগ দিতে বলেন। অভিযোগ দায়েরের পর থানায় বারবার যোগাযোগ করা হলেও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বরং তারা বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন।’
তিনি আরও দাবি করেন, ‘অভিযুক্ত তারক দাসের নিকট আত্মীয় পুলিশ অফিসার। তার ভয়ে তদন্ত কর্মকর্তা কোনো কাজ করছেন না।’
এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আব্দুল মান্নান বলেন, ‘যথাযথ নিয়মে তদন্ত প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। এখনও স্কুল ছাত্রী অথৈর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।’
অথৈ’র চাচা তপন কুমার দাস বলেন, ‘আমার দাদা অসিত কুমার দাস ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত। ভারতের ভেলোরে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন কয়েক দিন আগে। এ অবস্থায় তার একমাত্র আদরের মেয়েকে কাছে না পেয়ে তিনি ভেঙে পড়েছেন। যে কোনো সময়ে বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।’
অথৈ’র অপর চাচা মদন কুমার দাস বলেন, ‘বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের জানানো হলেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। নিরুপায় হয়ে আমরা আদালতের শরনাপন্ন হয়েছি। গত বুধবার যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করা হয়। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডির ওপর তদন্তভার ন্যাস্ত করেছেন। কিন্তু গত দু’দিনে মামলার কোনো অগ্রগতি হয়নি।’
রিটন/ মাসুদ
আরো পড়ুন