ঢাকা     মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ১৮ ১৪৩১

ভাষাসৈনিক মতিনকে সংবর্ধনা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩২, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩   আপডেট: ১০:৩৪, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ভাষাসৈনিক মতিনকে সংবর্ধনা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের উদ্যেগে ভাষাসৈনিক মিয়া মতিনকে (৯১) সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহিদ দিবস উপলক্ষে  সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনূল ইসলাম, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, কসবা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন ভূইয়া বকুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিক ও সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার বলেন, পাঁচজন ভাষাসৈনিকের স্মৃতি রক্ষায় কাজ করবে জেলা পরিষদ।

আরো পড়ুন:

ভাষাসৈনিক মতিন বলেন, ‘তখন আমি মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। মায়ের ভাষা তারা কেড়ে নিতে চায় শোনার পর আর স্থির থাকতে পারিনি। পরে আন্দোলন শুরু করি। জেল থেকে বের হয়েও ভাষার জন্য সভা-সামাবেশ করেছিলাম। এই আন্দোলনের জন্য বঙ্গবন্ধু ঢাকায় ডেকে নিয়ে আমাকে প্যান্ট ও শার্ট উপহার দিয়েছিলেন।’

প্রসঙ্গত, মিয়া মতিন আখাউড়া উপজেলার টনকী গ্রামে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলন করেন। তার নেতৃত্বে সেসময় আটজন একটি মিছিল বের করেছিলেন। মিছিলটি উপজেলার মোগড়াবাজার ও গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। পরে তাদের এ আন্দোলনটি গণবিক্ষোভে রূপ নেয়। এ খবর পৌঁছে যায় তৎকালীন মুসলিম লীগ সরকারের কাছে। ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ মিয়া মতিনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। দুই মাস পর জেল থেকে ছাড়া পান। এরপর তিনি ভাষার জন্য সভা সমাবেশ করেন। ১৯৫৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান মিয়া মতিনসহ আরো কয়েকজনকে ঢাকায় ডেকে পাঠান ও সাহসিকতার জন্য তাদের উপহার দেন।

মাইনুদ্দীন/ মাসুদ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়