ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে ইউপি চেয়ারম্যানের অশ্লীল ভিডিও নিয়ে তোলপাড়

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২১, ২৮ মার্চ ২০২৩  
টাঙ্গাইলে ইউপি চেয়ারম্যানের অশ্লীল ভিডিও নিয়ে তোলপাড়

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাসুদ তালুকদারের একাধিক অশ্লীল ভিডিও নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। 

অভিযোগ রয়েছে, চেয়ারম্যান সুন্দরী নারীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের অনৈতিক প্রস্তাব দেন। মনোবাসনা পূরণ না হলে তিনি তাদের হেনস্থা করেন বলেও ভুক্তভোগীরা দাবি করেছেন।  

উপকারভোগী নারী এমনকি পুরুষের সঙ্গেও মোবাইলে ভিডিও কল করে চেয়ারম্যান বিভিন্ন সময় অশালীন অঙ্গভঙ্গী করেছেন। তেমনই বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। এ রকম ৩ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড এবং ২ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের দুটি ভিডিও রাইজিংবিডির এই প্রতিনিধির হাতে এসেছে।   

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, একজন জনপ্রতিনিধি এমন কাজ করবেন এটা মেনে নেয়া যায় না। এতে দল ও চেয়ারম্যান পদের মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে তারা মনে করেন। এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ারও দাবি জানান তারা। 

জানা যায়, ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ৪ নম্বর নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে মো. মাসুদ তালুকদার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই তিনি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। বিশেষ করে বিভিন্নভাবে তার চারিত্রিক দুর্বলতা প্রকাশ পেতে তাকে। ইউনিয়ন পরিষদে আসা সেবাপ্রার্থী নারীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তিনি তাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে ফেসবুক মেসেঞ্জার বা ইমোতে ভিডিও কল করে তাদের কুপ্রস্তাব দেন এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গী করেন। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী এক নারী জানান, কয়েক মাস আগে মাসুদ তালুকদারের কাছে তিনি সন্তানের জন্ম নিবন্ধনের জন্য যান। তখন চেয়ারম্যান তাকে পরদিন যেতে বলেন। পরদিন গেলে চেয়ারম্যান তাকে পরিষদ ভবনের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যান এবং মোবাইল নম্বর নেন। এরপর থেকেই চেয়ারম্যান তাকে প্রতিনিয়ত তাকে ফোন করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তার সঙ্গে ফেসবুকে যুক্ত হন মাসুদ তালুকদার। এরপর ফেসবুক মেসেঞ্জারে ভিডিও কল দিয়ে তাকে কুপ্রস্তাব দেন তিনি এবং নগ্ন হয়ে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গী করেন। 

এ সময় ভিডিও কলের স্ক্রীন শট রেখে দেন ওই ভুক্তভোগী নারী। তিনি সেই স্ক্রীন শট ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখালে চেয়ারম্যান ফোন করা বন্ধ করে দেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকজন সদস্য জানান, ভিডিও তারাও দেখেছেন। এটা তাদের এবং ইউনিয়নবাসীর জন্য লজ্জাজনক। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মো. মাসুদ তালুকদার দাবি করেন ভিডিওগুলো এডিট করা। প্রতিপক্ষ তাকে ফাঁসাতে এমন ভিডিও বানিয়ে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি চেয়ারম্যানের কাছেই জিজ্ঞাসা করা ভালো।

কাওছার/তারা 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়