বাস-অটোরিকশা শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ
নওগাঁ সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
নওগাঁর মান্দায় বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিকদের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় দুটি বাস ও ১৫টি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার সাবাইহাট ও ফেরিঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কে বাস ও তিন চাকার যান চলাচল বন্ধ আছে।
জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মতিউজ্জামান বলেন, সরকারি আইন অনুযায়ী মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল নিষিদ্ধ। প্রশাসন ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও অটোরিকশা চালকেরা নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কে জোর করে গাড়ি চালিয়ে আসছিল। এ নিয়ে সম্প্রতি দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার দুপুরে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কে মান্দার সাবাইহাট বাজার এলাকায় অটোরিকশাচালক ও মালিকরা সংঘবদ্ধ হয়ে দুটি বাস ভাঙচুর করেন। এ সময় দুই বাসের চালক ও সহকারীকেও মারধর করা হয়। পরে বাস শ্রমিকেরা এ ঘটনার প্রতিবাদে মান্দার ফেরিঘাট এলাকায় রাস্তার ওপর আড়াআড়িভাবে বাস রেখে যান চলাচল বন্ধ করে দেন।
সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক শ্রমিক সমিতি সাবাইহাট শাখার সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, নওগাঁ বাস মালিক সমিতি ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন সড়কের মোহাম্মদপুর সাইনবোর্ড এলাকায় অবৈধভাবে চেকপোস্ট বসিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেন। এ নিয়ে অটোরিকশার মালিক ও শ্রমিকেরা প্রতিবাদ করলে গত ২৯ আগস্ট মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন তাদের মারধর করে।
তিনি আরও বলেন, আজ দুপুরে নতুন চেকপোস্টে এক অটোরিকশাচালককে মারধর করেন মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন। পরে উপজেলার ফেরিঘাট এলাকায় বাস শ্রমিকেরা ফের অটোরিকশার মালিক ও চালকের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ১৫-১৬টি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়। হামলায় অন্তত ১৫ অটোরিকশা শ্রমিক আহত হয়েছেন।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ চলছে। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক করতে এবং উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চলছে। সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
সাজু/কেআই