দুই বন্ধুকে নিয়ে ধর্ষণের পর স্ত্রীকে হত্যা করেন সাইদুর
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম
পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন স্বামী সাইদুর রহমান। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সঙ্গে নেন বন্ধু সোহাগ মোল্লা ও শরিফুল ইসলাম তপুকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাসা থেকে স্ত্রীকে বের করে নির্জন কাশবনে নিয়ে তিনজনে মিলে প্রথমে ধর্ষণ করেন। পরে স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ কাশবনের মধ্যে ফেলে রেখেই পালিয়ে যান তারা।
চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা খুলনা মহানগরীর হরিণটানা থানার রায়েরমহল আন্দিরঘাট ব্রিজ সংলগ্ন এলাকার। গত ৪ জুলাই ঘটনাটি ঘটে। লাশ উদ্ধার হলেও আসামিরা এতোদিন পলাতক ছিলেন। অবশেষে গত দুই দিনের অভিযান শেষে হরিণটানা থানা পুলিশ শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিহতের স্বামী সাইদুরসহ ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মধ্যে নিহত শামিমার স্বামী সাইদুর রহমান হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। হরিনটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি মনিরুল জানান, তিন আসামিকে গ্রেপ্তার এবং স্বামী সাইদুর রহমানের স্বীকারোক্তির মধ্যে দিয়ে চাঞ্চল্যকর শামীমা হত্যাকাণ্ডের মোটিভ উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। আদালতের নির্দেশে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুই আসামিকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান তিনি।
পুলিশ জানায়, হরিণটানা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহরিয়ার হাসানের নেতৃত্বে একটি টিম বিশেষ অভিযান চালিয়ে আড়ংঘাটা থানার শলুয়া বাজার এলাকা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে প্রধান আসামি কয়রা উপজেলার সানাবাড়ী গ্রামের মো. আব্দুর রহিম মোল্লার ছেলে মো. সাইদুর রহমানকে (২১) গ্রেপ্তার করে। তার স্বীকারক্তি মোতাবেক আজ রায়ের মহল থেকে সাইদুরের বন্ধু মো. সোহাগ মোল্লা (২০) এবং রায়ের মহল পশ্চিমপাড়ার মো. মকিতুর রহমানের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম তপুতে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে সাইদুর হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৪ জুলাই সকালে হরিণটানা থানাধীন রায়েরমহল আন্দিরঘাট ব্রিজের দক্ষিণ পাশে একটি আবাসিক প্রকল্পে কাশবনের মধ্যে থেকে গৃহবধূ শামীমা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাবুল সানা বাদী হয়ে ৫ জুলাই স্বামী সাইদুর রহমানসহ নাম না জানা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে হরিণটানা থানায় মামলা করেন। এরপর থেকে আসামিরা পলাতক ছিলেন।
নূরুজ্জামান/ মাসুদ