ঢাকা     শনিবার   ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২০ ১৪৩১

রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে ভাঙন

রাজবাড়ী সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫৩, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩   আপডেট: ১৭:০৩, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে ভাঙন

ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে মহাদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

রাজবাড়ী জেলার ৮৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে পদ্মা নদী। প্রতিবছরই নদী ভাঙনে বিলীন হয় এ জেলার ফসলি জমি, বসতবাড়িসহ নানা স্থাপনা। মূলত বর্ষার শুরু এবং শেষে ভাঙনের তীব্রতা বাড়ে। গত কয়েকদিন ধরে পদ্মার পানি কমায় জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা দিয়েছে ভাঙন।

এরই মধ্যে সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের বড়চর বেনিনগর, মেছোঘাটা, মহাদেবপুর এলাকায় দুই কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। এরফলে নদীতে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি। ঝুঁকিতে রয়েছে স্কুল, বসতবাড়িসহ নানা স্থাপনা। 

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভাঙন রোধে এখনো কেউ আসেনি। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, পদ্মার পানি কমলেও ভাঙন তেমন নেই।

আরো পড়ুন:

সরেজমিনে দেখা গেছে, মিজানপুর ইউনিয়নের বড়চর বেনিনগর, মেছোঘাটা এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত কয়েকদিনের ভাঙনে অনেক কৃষকের ফসলি জমিনদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে মহাদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যেসব জায়গায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিল সেসব জায়গাতেও এখন ভাঙন দেখা দিয়েছে। 

মেছোঘাটা এলাকার বাসিন্দা আলেয়া বেগম বলেন, ভাঙনের অবস্থা খুবই খারাপ। আগেও দুই তিনবার নদীতে বাড়ি ভেঙ্গে গেছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে নদীতে ভাঙন দেখা দিলেও এখন পর্যন্ত কেউ আসেননি। নদীতে আগেই সব গেছে। এখন যতটুকু ছিল তাও চলে যাচ্ছে।

মামুন মোল্লা বলেন, গত কয়েকদিনে আধা কিলোমিটার এলাকা নদীতে ভেঙ্গে গেছে। আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ। সবই তো নদীতে চলে যাচ্ছে। 

মহাদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নেকবর আলী বলেন, স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমার স্কুলটি এখনো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি না থাকায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে খুবই চিন্তায় থাকতে হয়। কারণ অনেক শিক্ষার্থী খেলাধুলা করার সময় নদীর পাড়ে যায়। হঠাৎ নদীতে পড়ে যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। সব শিক্ষার্থী তো সাঁতার জানে না। এজন্য বাউন্ডরি দেওয়া জরুরি। সেই সাথে স্কুলটি ভাঙন থেকে রক্ষায় স্থায়ী কাজ করাটাও জরুরি।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী এম এ শামীম বলেন, পদ্মার পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমলে কিছু কিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। বর্তমানে রাজবাড়ী জেলায় তেমন ভাঙন নেই। যেসব এলাকা ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে আমরা সে সব এলাকা নজরদারিতে রেখেছি। যদি ভাঙন দেখা দেয় আমরা সেখানে কাজ শুরু করবো।

রবিউল/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়