ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৯ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

ভোটে হারলেন লতিফ বিশ্বাস, নেই জেলা চেয়ারম্যানের পদও

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:২৫, ৮ জানুয়ারি ২০২৪  
ভোটে হারলেন লতিফ বিশ্বাস, নেই জেলা চেয়ারম্যানের পদও

আব্দুল লতিফ বিশ্বাস

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হয়েছেন সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস।

ঈগল প্রতীকে লতিফ বিশ্বাস পেয়েছেন ৭৩ হাজার ১৮৩ ভোট। আওয়ামী লীগ প্রার্থী শিল্পপতি আব্দুল মমিন মন্ডল ৭৭ হাজার ৪২২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। লতিফ বিশ্বাস জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন।  

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে গত ২৮ নভেম্বর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লতিফ বিশ্বাস উঠান বৈঠক, গণসংযোগ আর প্রচারণা চালিয়ে নির্বাচনি মাঠ গরম করে রাখেন। ১৯৯৬-২০০১ ও ২০০৮-২০১৪ সালে দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। তিনি মন্ত্রী হওয়ার পর বেলকুচি উপজেলায় তার আত্মীয়-স্বজনদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করার অভিযোগ উঠে। সাধারণ মানুষ গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নৌকার পক্ষে তার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন।

তৃণমুল রাজনীতি থেকে উঠে আসা লতিফ বিশ্বাস বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘ দিন সভাপতি ছিলেন। দুই বার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পরে সিরাজগঞ্জ-৫ আসন থেকে ১৯৯৬ সালে প্রথম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে একই আসনে নির্বাচন করে পরাজিত হলেও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য হন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর তিনি ২৪ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পান এবং ২১ নভেম্বর ২০১৩ তারিখ পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়ন বঞ্চিত হন। দলের ও সরকারের কোনো দায়িত্বে না থাকলেও তিনি সব দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তাকে দ্বিতীয় বারের মতো সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসকের পদে নিয়োগ দেয়া হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মণ্ডল বলেন, ‘সবাই কেন্দ্রে এসে উৎসরমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করেছেন। আব্দুল লতিফ বিশ্বাস সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী থাকাবস্থায় নির্বাচনি এলাকায় যে অত্যাচার করেছেন, সাধারণ মানুষেরা ভোটের মাধ্যমে তার জবাব দিয়েছেন।’
 

রাসেল/বকুল 

ঘটনাপ্রবাহ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ