তোরেসের প্রথম হ্যাটট্রিকে বার্সার গোল উৎসব
প্রথমার্ধেই দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক। সাথে লামিন ইয়ামালের পেনাল্টি গোল আর রুনি বারদগির ঝলক। সব মিলিয়ে শনিবার রাতে লা লিগায় রিয়াল বেতিসকে ৫-৩ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা।
পঞ্চম স্থানে থাকা বেতিসকে বিধ্বস্ত করে পাওয়া জয়ের ফলে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে বার্সেলোনার পয়েন্টের দূরত্ব বেড়ে দাঁড়িয়েছে চারে। আজ রোববার সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে মাঠে নামবে মাদ্রিদ।
হান্সি ফ্লিকের দলে নিয়ামিত বেঞ্চওয়ার্মার থেকে ক্রমে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত স্ট্রাইকারে পরিণত হয়েছেন ফেরান তোরেস। ৩৭ বছর বয়সী লেভানদোভস্কির চেয়ে এখন বেশি ম্যাচে একাদশে সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। এই মৌসুমে বার্সার সেরা গোলদাতাও তোরেস। সব মিলিয়ে ১৩ গোল, যার ১১টিই লা লিগায়। লিগে তার চেয়ে বেশি গোল কেবল কিলিয়ান এমবাপ্পের (১৬)।
গ্রীষ্মে কোপেনহাগেন থেকে যোগ দেওয়া ২০ বছর বয়সী সুইডিশ উইঙ্গার রুনি বারদগজি মাত্র তৃতীয় ম্যাচে একাদশে নেমেই তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। দারুণ ড্রিবলিং, নিখুঁত পাসে তোরেসের লিড নেওয়া গোল, এরপর বক্সের ঠিক ভেতর থেকে তার নিজের দুরন্ত শট; সব মিলিয়ে ম্যাচের অন্যতম নায়ক তিনিও।
এদিন লেভানদোভস্কি ও রাফিনিয়াকে মাঠে নামানোই হয়নি। ফলে মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়নস লিগে আইনট্রাখট ফ্র্যাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে বার্সার হয়ে তারা দুজনই থাকবেন সতেজ ও তরতাজা।
এদিন ম্যাচ শুরুর ষষ্ঠ মিনিটেই অ্যান্থনি গোল করে বেতিসকে এগিয়ে দেন। কিন্তু বার্সাকে দ্রুতই ম্যাচে ফিরিয়ে আনে ফেরান তোরেস। জুলস কুন্দের নিচু ক্রস দারুণভাবে ফিনিশ করে সমতায় আনেন তিনি।
এর দুই মিনিট পরই আবারও তোরেস। এবার বারদগজির উঁচু ক্রসে দুর্দান্ত এক অ্যাক্রোবেটিক ভলি, যা গোলরক্ষক আলভারো ভালেসের পায়ের ফাঁক গলিয়ে জালে জড়ায়। ৩১ মিনিটে বারদগজির শক্ত শট বার্সাকে ৩-১–এ এগিয়ে দেয়। ৪০ মিনিটে তোরেসের দূরপাল্লার শট ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে জালে গেলে সম্পূর্ণ হয় তার প্রথমার্ধের হ্যাটট্রিক।
ম্যাচে বার্সেলোনার কৌশলগত নতুনত্বও ছিল চোখে পড়ার মতো। লামিন ইয়ামালকে প্রায় পুরো ম্যাচজুড়ে ডান উইং ছেড়ে খেলতে হয় মাঝমাঠের সৃজনশীল ভূমিকায়। মাঝমাঠের এই নতুন ভূমিকাতেও ইয়ামাল ছিলেন তাল মিলিয়ে। তোরেসের প্রথম গোলের বিল্ড-আপেও ছিল তার অবদান। এরপর ৫৯ মিনিটে মার্কাস র্যাশফোর্ডের শটে মার্ক বারত্রার হাত লাগলে পাওয়া পেনাল্টি থেকে গোল করেন ইয়ামাল।
শেষদিকে দিয়েগো লোরেন্তে ও কুচো হার্নান্দেজের (পেনাল্টি) দুটি গোল বেতিসকে কিছুটা সান্ত্বনা দেয়। পেনাল্টিটি আসে কুন্দের ফাউল থেকে।
মার্কাস র্যাশফোর্ডের সামনে গোলরক্ষক ছাড়া আর কেউই ছিলেন না। একাই বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে বার্সার ষষ্ঠ গোলটি করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও পোস্টের বাইরে শট পাঠান তিনি।
এর আগে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বেতিস ডার্বিতে সেভিয়াকে হারিয়ে এসেছিল। টানা আট ম্যাচে তারা ছিল অপরাজিত। তবে এই হার তাদের অবস্থান নড়বড়ে করে দিল। রোববার এস্পানিয়ল যদি রায়ো ভায়েকানোর সঙ্গে ড্র করে, তবে বেতিসকে পেছনে ফেলবে তারা।
ঢাকা/আমিনুল