ঢাকা     সোমবার   ০৬ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

মন্দির পোড়ানোর ঘটনায় ২ ভাই নিহত: ‘অপরাধী যেই হোক, ছাড় নয়’

ফরিদপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪৪, ২০ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ২৩:০০, ২০ এপ্রিল ২০২৪
মন্দির পোড়ানোর ঘটনায় ২ ভাই নিহত: ‘অপরাধী যেই হোক, ছাড় নয়’

বক্তব্য রাখছেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে মন্দিরে অগ্নিসংযোগের পর দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় নিহতদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মন্ত্রী মধুখালী উপজেলার চোপেরঘাট গ্রামে নিহতের বাড়িতে যান।

পঞ্চপল্লী গ্রামে কালী মন্দিরে আগুন দেওয়া হয়। এতে গ্রামবাসীর সন্দেহ হয়, সেখানে নির্মাণাধীন স্কুলের নির্মাণ শ্রমিকরা আগুন দিয়েছে। ডুমাইন ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন জানান, পাঁচ গ্রাম নিয়ে সেখানে পঞ্চপল্লী অবস্থিত। এলাকা হিন্দু বসতি অধ্যুষিত। এর মাঝে কৃষ্ণনগর গ্রামে স্কুলের নির্মাণ কাজ করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে পঞ্চপল্লীর একদল মানুষ ওই শ্রমিকদের পিটিয়ে আহত করে নির্মাণাধীন স্কুলঘরে আটকে রাখে। এর মধ্যে আপন দুই ভাই মারা যায়। 

ধর্মমন্ত্রী নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে শোক ও সমবেদনা জানান। এ সময় নিহত দুই ভাইয়ের বাবা ও মায়ের সঙ্গে কথা বলেন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আশ্বাস দেন। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুই লাখ টাকা সহায়তা দেন মন্ত্রী।

ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান চোপেরঘাট গ্রামে বক্তব্যে বলেন, ‘এ ধরনের অপকর্ম যেন আর কেউ না ঘটাতে পারে, অন্য জায়গায় যেন এমন ঘটনা করার সাহস তারা না পায়, তারা যেই হোক, হিন্দু হোক আর মুসলমান।’ 

তিনি বলেন, ‘এ দেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ। আমরা এ দেশে বসবাস করছি সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে। অপরাধী যেই হোক, তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

পরে চোপেরঘাট কবরস্থানে নিহতদের কবর জিয়ারত করেন তিনি। এ সময় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু আ হামিদ জমাদ্দার, জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলমসহ কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এরপর মন্ত্রী ডুমাইন ইউনিয়নের পাঁচপল্লী গ্রামে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আলী সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, এ ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

তামিম/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ