ঢাকা     শনিবার   ০৪ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২১ ১৪৩১

‘৭০০০ টাকার জন্য মামাত বোনকে তুলে দেয়, নিজেও ধর্ষণ-হত্যায় অংশ নেয়’

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৫৩, ২২ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ২০:৫৪, ২২ এপ্রিল ২০২৪
‘৭০০০ টাকার জন্য মামাত বোনকে তুলে দেয়, নিজেও ধর্ষণ-হত্যায় অংশ নেয়’

গ্রেপ্তার দুই আসামি

মাত্র ৭ হাজার টাকার জন্য সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় ধর্ষণের জন্য মামাত বোনকে (৭) বন্ধুদের হাতে তুলে দেয় ছাব্বির হোসেন। পরে ছাব্বির নিজেও ধর্ষণ করে এবং হত্যাও অংশ নেয়। পরে লাশ ফেলে সকলেও পালিয়ে যায়। 

শিশু সুবর্ণাকে দলবেঁধে ধর্ষণ ও হত্যার দীর্ঘ ৭ বছর পর রহস্য উদঘাটন করেছে সিরাজগঞ্জের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেপ্তার দুই আসামি ছাব্বির হোসেন (২০) ও শাকিল খান (২১) জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দিয়েছেন। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ পিবিআই-এর পুলিশ সুপার রেজাউল করিম। 

পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, ২০১৭ সালে চৌহালী উপজেলার দত্তকান্দি হাইস্কুল মাঠে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে যায় সুবর্ণা। সেখানে দত্তকান্দি গ্রামের রশিদ মেম্বারের ছেলে মিলন পাশাসহ অন্যান্য আসামিরা ছাব্বিবের সঙ্গে শিশু সুবর্ণাকে দেখে। তখন আসামিরা সুবর্ণাকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। তারা শিশুটিকে ধর্ষণের জন্য ছাব্বিরকে সাত হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি হয়ে ছাব্বির শিশু সুবর্ণাকে মধ্য শিমুলিয়া চরের ফসলের মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে দলবেঁধে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বারবার বলতে থাকে সবাইকে ঘটনার কথা বলে দেবে। তখন ধর্ষণকারীরা শিশুটিকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে এবং পরনের ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে চলে যায়। এ ঘটনায় শিশুর বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা করেন। পরে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পিবিআই-কে।

পিবিআই ভিকটিম সুবর্ণার সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখতে পায়, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষায় সুবর্ণার পরনের পোশাকে বীর্যের উপস্থিতিও পাওয়া যায়।

পিবিআই তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে গত ১৯ এপ্রিল ছাব্বির হোসেনকে ঢাকার শ্যামলী থেকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সদর উপজেলার দত্তকান্দি থেকে শাকিব খানকে গ্রেপ্তার করে। তারা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।

পিবিআই পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, ফুফাত ভাই ছাব্বির ৭ হাজার টাকার জন্য মামাত বোনকে ধর্ষণের জন্য তাদের হাতে তুলে দিলেও তাকে সেই টাকাও দেয়নি আসামিরা। ছাব্বির অন্যান্যদের সঙ্গে নিজেও মামাত বোনকে ধর্ষণ ও হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি। 

রাসেল/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়