মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে দুপুর ১২টায় ঢাকায় নামবেন তারেক রহমান
তারেক রহমান। ফাইল ছবি
আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এদিন বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে তাকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি নিয়মিত ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। তারেক রহমানের সঙ্গে থাকবেন তার মেয়ে জাইমা রহমান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার। তিনি জানান, তারেক রহমান লন্ডন থেকে যাত্রা করে সিলেট হয়ে ঢাকায় পৌঁছাবেন। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, ২৫ ডিসেম্বর বেলা ১১টার পর ঢাকায় অবতরণ করবে বিমানটি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমানের আগমন ঘিরে দলীয়ভাবে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও দলীয় কার্যালয়গুলোতে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিএনপি নেতারা বলছেন, এটি শুধু একজন নেতার প্রত্যাবর্তন নয়, বরং দেশের রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
অভ্যর্থনা দিতে স্থান যাচাই-বাছাই চলছে
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে বিশেষভাবে ঘিরে অভ্যর্থনার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। সম্ভাব্য অভ্যর্থনার স্থান যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, “তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে অভ্যর্থনা টিমের সদস্য ও নিরাপত্তা প্রধানকে নিয়ে বিমানবন্দরে একটি বৈঠক হয়েছে। মূলত তিনি বিমানবন্দর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে কীভাবে যাবেন, সে বিষয়েই আলোচনা হয়েছে।”
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “পুরো সড়কপথের নিরাপত্তা এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গেও বৈঠক হবে।”
প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা শামছুল ইসলাম
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এ কে এম শামছুল ইসলাম। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ড. এ কে এম শামছুল ইসলাম।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এ কে এম শামছুল ইসলামকে ‘প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা’ হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
২০০৭ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন তারেক রহমান। পরবর্তীতে রাজনৈতিক বাস্তবতায় তিনি দীর্ঘদিন প্রবাসে অবস্থান করতে বাধ্য হন। এই সময়ের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। দেশের বাইরে অবস্থান করেও দলীয় আন্দোলন, কৌশল নির্ধারণ ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন বলে দাবি দলটির নেতাদের।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা আগামী জাতীয় রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে নির্বাচন, দল পুনর্গঠন ও ভবিষ্যৎ আন্দোলনের ক্ষেত্রে তার সরাসরি উপস্থিতি নতুন গতি সঞ্চার করবে বলে তারা মনে করছেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে থাকবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
ঢাকা/আলী/সাইফ