ঢাকা     শনিবার   ০৪ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২১ ১৪৩১

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হলেন অপহরণের শিকার দেলোয়ার 

নাটোর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩৮, ২৩ এপ্রিল ২০২৪  
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হলেন অপহরণের শিকার দেলোয়ার 

দেলোয়ার হোসেন পাশা

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন অপহরণের শিকার হওয়া দেলোয়ার হোসেন পাশা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দেলোয়ারকে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে দেলোয়ারের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেল। গত ২১ এপ্রিল দুপুরে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখের কাছে লুৎফুর হাবীব রুবেলের পক্ষে তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন জমা দেন তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিনহাজ উদ্দিন। এর ফলে এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে একমাত্র প্রার্থী ছিলেন দেলোয়ার।

জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ জানান, সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দেলোয়ার হোসেন ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থী নেই সে কারণে তাকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।

গত ৩ এপ্রিল লুৎফুল হাবিব রুবেল শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হন। তিনি উপজেলার পরিষদের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অপহরণ করা হয়। এ নিয়ে মামলা হয়। এতে বিভিন্নভাবে লুৎফুল হাবিব রুবেলের নাম উঠে আসে।   

গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) সিংড়া উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন ব্যাংকে জামানতের টাকা জমা দেওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন। এদিকে, জরুরি প্রয়োজনে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে গেলে সেখান থেকে কালো রঙের মাইক্রোবাসে করে কয়েকজন দুর্বৃত্ত দেলোয়ার হোসেনের ভাই আলাউদ্দিনসহ দুই জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে দেলোয়ার হোসেন নির্বাচন অফিস থেকে নেমে আসলে তাকেও মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে নেয়।

এ সময় দেলোয়ার হোসনেকে গাড়ির ভিতর মারধর করে দুর্বৃত্তরা। পরে বিকেলে বাড়ির সামনে তাকে ফেলে দিয়ে যায়। চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণের দুটি সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে। সেখানে দেখা গেছে, দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ করে যে গাড়িতে তোলা হয়, সেটি তার প্রতিদ্বন্দ্বী লুৎফুল হাবিব রুবেলের। পরে আহত দেলোয়ার হোসেনের ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। গত ১৯ এপ্রিল অসুস্থ দেলোয়ার হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে যান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

আরিফুর/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়