ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বরগুনায় আশ্রয় কেন্দ্রে ৭০ হাজার মানুষ

বরগুনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২৩:০১, ২৬ মে ২০২৪  
বরগুনায় আশ্রয় কেন্দ্রে ৭০ হাজার মানুষ

বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে ৬৭৩টি সাইক্লোন শেল্টার ও তিনটি মুজিব কিল্লায় আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৭০ হাজার মানুষ।

রোববার (২৬ মে) রাত সাড়ে নয়টায় সদরের বালিয়াতলী ডিএন কলেজে ঘুরে দেখা গেছে, বালিয়াতলীর ঝূঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকার প্রায় ২৯০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। আশ্রয় নেওয়া মানুষের মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যা বেশি।

আরো পড়ুন:

আশ্রয় নেওয়া বালিয়াতলী এলাকার বাসিন্দা কলি বেগম (৪৪) বলেন, সারাদিন আবহাওয়া দেখে মনে হয়েছিল ঘূর্ণিঝড়ে কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে, সন্ধ্যার পর থেকেই তুমুল বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে আতঙ্কিত হয়ে দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছি।

সদরের পোকটাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানেও মোল্লার হোড়ার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দারা আশ্রয় নিয়েছেন আশ্রয় কেন্দ্রে। আশ্রয় প্রার্থীদের মধ্যে আধা কেজি মুড়ি, আধা কেজি চিড়া ও আধা কেজি করে গুড় বিতরণ করেছেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. শামীম মিঞা।

এদিকে রোববার বিকেল থেকে তালতলীর খোট্টারচর, জয়ালভাঙ্গা ও তেঁতুলবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দারা আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন আশ্রয়ণ কেন্দ্রে।

আশ্রয় প্রার্থীরা জানান, জলোচ্ছ্বাস এর খবর পেয়ে ঝূঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছেন তারা।

বরগুনা সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম মিঞা বলেন, যারা আশ্রয় নিয়েছেন তাদের মধ্যে খাবার বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছি।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ারা তুমপা বলেন, ঝূঁকিপূর্ণ সব এলাকায় আমি নিজে গিয়ে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য আশ্রয়ণ কেন্দ্রে আসতে অনুরোধ করেছি। তারা অনেকেই এসেছেন। আমরা নিয়মিত খাবার বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।

বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত ৭০ হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। এখনও ঝূঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দারা আশ্রয় কেন্দ্রে আসছেন। আমি সব দিকে নজর রাখছি।

ইমরান/ফয়সাল

সম্পর্কিত বিষয়:

ঘটনাপ্রবাহ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়