ঢাকা     সোমবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত লোহাগড়ার কর্মকাররা

নড়াইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩৭, ১৫ জুন ২০২৪   আপডেট: ১৬:২৮, ১৫ জুন ২০২৪
শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত লোহাগড়ার কর্মকাররা

ঈদুল আজহার আর মাত্র বাকি দুই দিন। শেষ সময়ে এসে ব্যস্ততা বেড়েছে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কামারদের। এখন তারা পশু জবাই ও মাংস কাটার কাজে ব্যবহৃত ছুরি, চাকু ও চাপাতি তৈরিতে ব্যস্ত। এবারের ঈদকে সামনে রেখে ভালো অর্থ আয় করার আশা করছেন তারা।

শনিবার (১৫ জুন) সকালে লোহাগড়া সদর, লক্ষীপাশা, কালনা বাজার দিঘলিয়া, মানিকগঞ্জ, ইতনা, লাহুড়িয়া, কলাগাছি, এড়েন্দা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের তুলনায় এখন কামারের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। লোহা ও কয়লার দাম বেশি থাকায় এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি আধুনিক চাকু, ছুরি ও চাপাতি কম দামে বিক্রি হওয়ায় পেশা পরিবর্তন করেছেন অনেক কামার। যারা এই পেশায় এখনো আছেন সারা বছর কাজ না থাকলেও কোরবানি ঈদের আগের কয়েকদিন ক্রেতাদের কাছে পণ্য বিক্রি ও তৈরিতে সময় কাটাচ্ছেন তারা।  

আরো পড়ুন:

লোহাগড়া বাজারের শ্রীবাস কর্মকার বলেন, ‌‘গত ৫০ বছর ধরে আমি এ পেশায় আছি। জীবিকা নির্বাহে কষ্ট হলেও বাপ-দাদার পেশা এখনো ধরে আছি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতি কেজি দা-বটির দাম রাখা হচ্ছে ১৪০০ টাকা। বড় বটি ২ হাজার টাকা, বড় ছুরি প্রতি কেজি ১৫০০ টাকা, কুড়াল প্রতিকেজি ৮০০ টাকা পযর্ন্ত নেওয়া হয়। পুরানো হাতিয়ার মেরামত ও ধারালো করতে নেওয়া ৫০ থেকে ১০০ টাকা। কোরবানির পশুর জন্য বেশি প্রয়োজন হওয়ায় সবাই এখন কামারদের কাছে ছুটছেন।’

লোহাগড়া ইউনিয়নের চরকালনা গ্রামের তাফসির ত্বহা বলেন, ‘ছোট ছুরিগুলো এক বছরের বেশি যায় না। এ কারণে প্রতিবছরই নতুন করে ঈদের আগে ছুরি কিনতে হয়। কোরবানির পশু জবাই করার জন্য ধারালো ছুরি ব্যবহার করতে হয়। এছাড়া মাংস কাটতে চাপতি প্রয়োজন। তাই ধার করিয়ে নিতে এসেছি।’

শরিফুল/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়