তীব্র শীতে কাবু খুলনাবাসী
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম

খুলনার আকাশ দুইদিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে আছে। মেঘলা আকাশে দেখা মেলছে না সূর্যের। ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে কনকনে ঠান্ডা বাতাস। খড়কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা হতদরিদ্র মানুষের। ঠান্ডায় মানুষের সঙ্গে সঙ্গে কাঁপছে প্রাণীকূলও।
এদিকে, এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিঘ্নিত হচ্ছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছেন না। শুক্রবার ও শনিবার সরকারির ছুটির দিন থাকা সত্বেও নেই বিনোদন স্পষ্ট নগরীর ৬নং ঘাটে লোকের সমাগম।
খুলনার আবহাওয়া অফিস বলছে, এরকম আবহাওয়া আরো দুই-একদিন থাকার সম্ভাবনা বেশি। খুলনার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবীদ মো. মিজানুর রহমান বলেন, “শুক্রবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত খুলনা বিভাগের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় কুমারখালীতে (কুষ্টিয়া) ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া খুলনায় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যশোরে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি, সাতক্ষীরায় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি, চুয়াডাঙ্গায় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি, মোংলায় ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও কয়রায় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।”
তিনি আরো বলেন, “এর আগের দিনের তুলনায় খুলনা বিভাগের তাপমাত্রা গড়ে ২ থেকে ২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমেছে।”
এদিকে, আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতিতে বিনোদন স্পষ্ট হিসেবে পরিচিত খুলনা মহানগরী ৬নং ঘাটে বিকেলে লোকের সমাগম ছিলো খুবই কম। ঘাটে বাদাম বিক্রেতা সুজন মিয়া বলেন, “প্রতি শুক্রবার ছুটি থাকায় অনেকেই এখানে ঘুরতে আসেন। নৌকা ভাড়া করে চড়েন। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বাদাম বিক্রি হতো ১ হাজার টাকার মতো। কিন্তু লোকের সেইরকম দেখা মিলছে না। শীতের কারণে ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছে না। যার কারণে অন্য ছুটির দিনের তুলনায় এখানে লোক নেই বললেই চলে।”
অপরদিকে, শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগ। প্রচণ্ড ঠান্ডা এবং হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ভোর থেকে প্রকৃতি ঢাকা থাকছে ঘন কুয়াশায়। চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে সড়ক ও নৌ যোগাযোগ। শীতের ফলে স্বাভাবিক কাজ-কর্মে নেমে এসেছে অলসতা।
এই পরিস্থিতিতে খেটে খাওয়া-দিনমজুর মানুষেরা মুখোমুখি হচ্ছেন অসহনীয় কষ্টের। খড়কুটো জোগাড় করে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। অনেকে স্বল্পমূল্যে গরম কাপড় কিনতে ভিড় করছেন ফুটপাতের দোকানগুলোতে।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/ইমন