‘ধর্ষণ ও হত্যার পর ঝলসে দেওয়া হয় শিশু জুঁইয়ের মুখ’
নাটোর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
প্রতীকী ছবি
নাটোরের বড়াইগ্রামে আকলিমা আক্তার জুঁই (৭) হত্যা মামলায় পাঁচ কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে নাটোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একাধিক দল মাঠে ছিল। তারা অভিযান চালিয়ে প্রথমে দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আরো তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে চারজনের বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গারফা ও আশপাশের গ্রামে। আরেকজনের বাড়ি পাবনার চাটমোহর উপজেলার রামপুর গ্রামে।’’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা শিশুটিকে ধর্ষণ ও হত্যার পর মুখমণ্ডল অ্যাসিডে ঝলসে দিয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তাদের ধারণা ছিল, মুখ ঝলসে দিলে শিশুটিকে আর কেউ চিনতে পারবে না। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী রয়েছে। এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
এর আগে, গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) পাবনার চাটমোহর উপজেলার কাটাখালী ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের একটি ভুট্টাখেত থেকে শিশু আকলিমা আক্তার জুঁইয়ের বিবস্ত্র ও মুখ ঝলসানো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে শিশুটির মা মরদেহটি জুঁইয়ের বলে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে পাবনার চাটমোহর থানায় মামলা করেন।
তার আগের দিন সোমবার শিশুটি দাদাবাড়ি সেমাই খেতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। স্বজনেরা খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি।
ঢাকা/আরিফ/রাজীব