ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

রামেক হাসপাতাল

নিজের কাজ ফেলে ট্রলি ঠেলে বেড়ান কর্মচারীরা, ব্যবস্থা নেবে দুদক

রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫৮, ২৫ জুন ২০২৫   আপডেট: ১৫:৫৯, ২৫ জুন ২০২৫
নিজের কাজ ফেলে ট্রলি ঠেলে বেড়ান কর্মচারীরা, ব্যবস্থা নেবে দুদক

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বুধবার দুপুরে অভিযান চালিয়েছে দুদক

নিজের কাজ ফেলে রোগীদের ট্রলি ঠেলে বেড়ান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীরা বলে অভিযোগ উঠেছে। এর বিনিময়ে তারা রোগীদের স্বজনদের কাছ থেকে আদায় করেন টাকা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও তাদেরকে মজুরি দিয়ে থাকে।

বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাজশাহীর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি দল এনফোর্সমেন্ট অভিযানে গিয়ে এ চিত্র দেখেছে। বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকদের ভাড়া নিয়ে দৈরাত্মও দুদকের নজরে এসেছে। এ দুটি ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা।

আরো পড়ুন:

সম্প্রতি রামেক হাসপাতালের আউটডোর ডিসপেনসারির ফার্মাসিস্ট ইনচার্জ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে পাওয়া এক লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক একটি এনফোর্সমেন্ট টিম গঠন করে। 

দুদকে করা অভিযোগে বলা হয়, রফিকুল ইসলামের শর্ট স্লিপে সব প্রকার ওষুধের গড়মিল আছে। মন্টিলুকাস, ফেকসু, মেটফরমিন, ওরস্যালাইন, মেট্রো, ডায়াগন টু, জিটিএন ও প্যারাসিটামল খরচের সঙ্গে স্লিপের মিল থাকে না বলেও এতে উল্লেখ করা হয়। মেইন স্টোরের ফার্মাসিস্ট মীর শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগ যাচাইয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইনকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি টিম গঠন করে দেয়া হয়। টিমের সদস্যরা আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে অভিযান চালান। তারা বেশকিছু নথিপত্রও নিয়ে যান।

অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন বলেন, “অভিযানে আমরা স্টোর রুমের খাতা দেখেছি। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে আমরা কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দেব।”

অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীরা ট্রলি পরিচালনা করে। তাদের দৈরাত্ম লক্ষ্য করেছি। এছাড়া হাসপাতালের বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া নিয়েও দৈরাত্ম দেখেছি। প্রাথমিকভাবে এ দুটি ক্ষেত্রে অনিয়ম দেখেছি। আমরা এ ব্যাপারে প্রতিবেদন দাখিল করব। তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হাসানুল হাসিব বলেন, “যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দুদক পেয়েছে, যারা যারা কনসার্ন আজই তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের নিজেদের কাজ করতে হবে, সেটা বলা হয়েছে।” 

ওষুধ সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এ রকম ভৌতিক কমপ্লেইন থাকেই। এটা নিয়ে আমরা ভাবছি না।”

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়