ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

গাইবান্ধায় বিএনপির দু’ গ্রুপে সংঘর্ষ-ভাঙচুর, আহত ১০

গাইবান্ধা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৫৬, ৩১ আগস্ট ২০২৫  
গাইবান্ধায় বিএনপির দু’ গ্রুপে সংঘর্ষ-ভাঙচুর, আহত ১০

সাদুল্লাপুর শহরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ হয়।

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন হয়েছে। 

রবিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে সাদুল্লাপুর শহরে জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মইনুল হাসান সাদিকের অপসারণ দাবিতে উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। জেলা নেতা সাদিক, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ছামছুল হাসান, সদস্য সচিব আব্দুস ছালাম মিয়ার সমর্থিত নেতাকর্মীরা লাঠি নিয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালায়। তখন ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়।

আরো পড়ুন:

ছামছুল-ছালাম সমর্থিতদের হামলায় পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিক শাকিল মিয়াসহ কয়েকজন আহত হয়। পরে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। তখন ছামছুল হাসান ও আব্দুস ছালাম মিয়া কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

ডা. সাদিকের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভকারীরা জানান, সাদুল্লাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নে বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি কাউন্সিল ছাড়াই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ দোসরদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ করা হয়। তখন ডা. মইনুল হাসান সাদিক, ছামছুল হাসান ও ছালাম মিয়ার সমর্থিত নেতাকর্মীরা শাহিন আল পারভেজের নেতৃত্বে লাঠি নিয়ে বিক্ষোভকারী  ও সাংবাদিকের ওপর হামলা চালায়। পরে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীন আল পারভেজ বলেন, ‘‘হঠাৎ করে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ও পোস্টার ছিঁড়ে চেয়ার ভাঙচুর করেছে। অফিসের সামনে থাকা ৪-৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।’’

সাদুল্লাপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ছামছুল হাসান বলেন, ‘‘জেলা সভাপতি ডা. সাদিকের বিরুদ্ধে মিছিল করেছে বিএনপির একাংশ। পরে তারা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে। অফিস ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। আওয়ামীপন্থি ও জামায়াতের লোকজন নিয়ে হামলা করা হয়েছে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’’

উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম মিয়া বলেন, ‘‘জেলা সভাপতি ডা. সাদিকের অপসারণ দাবিতে শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলাম। সাদিকপন্থিরা হামলা করলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। আমাদের পক্ষের ৫-৭ জন আহত হয়েছে।’’

সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজউদ্দিন খন্দকার বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।’’

ঢাকা/মাসুম/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়