ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

পঞ্চগড়ে হত্যার তদন্তে ৮ মাস পর লাশ উত্তোলন

পঞ্চগড় প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০৪, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১৯:০৫, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পঞ্চগড়ে হত্যার তদন্তে ৮ মাস পর লাশ উত্তোলন

পঞ্চগড় সদর উপজেলায় খাবারে বিষ মিশিয়ে হত্যার অভিযোগের মামলার তদন্তের জন্য দাফনের ৮ মাস পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে খামিরুল ইসলামের লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার সাতমেড়া ইউনিয়নের রায়পাড়া কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আরো পড়ুন:

এ সময় পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিদুর রহমান, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. মাহবুবুর রহমান সুমন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিদুর রহমান বলেন, ‘‘মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।’’

চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি খামিরুল ইসলাম চিকিৎসারত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে মারা যান। গত ৩ ফেব্রুয়ারি খামিরুলের বাবা তবিবর রহমান বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে খাবারে বিষ মিশিয়ে তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে— এমন অভিযোগে পঞ্চগড় আমলী আদালত-১ এ মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

আসামিরা হলেন খামিরুলের স্ত্রী মৌসুমী আক্তার, তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের গুয়াবাড়ি এলাকার মৃত বোয়ালু মুন্সীর ছেলে আব্দুর রউফ এবং তার স্ত্রী ইতি আক্তার।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মৃত খামিরুলের সঙ্গে অভিযুক্ত আব্দুর রউফের ব্যক্তিগতভাবে সুসম্পর্ক ছিল। সেই সুবাদে খামিরুলের বাড়িতে অবাধে যাতায়াত করতেন আব্দুর রউফ। এক পর্যায়ে খামিরুলের স্ত্রী মৌসুমী আক্তারের সঙ্গে আব্দুর রউফ পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তারা বিয়ের প্রস্তুতি নিতে থাকে। এ জন্য খামিরুলকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে। পুরো ব্যাপারে সহযোগিতা করে আব্দুর রউফের স্ত্রী ইতি আক্তার। এসবের কিছু বুঝে উঠতে পারেননি খামিরুল।

মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, গত ১৪ জানুয়ারি সুসম্পর্কের সূত্র ধরে বেড়াতে আসেন আব্দুর রউফ ও তার স্ত্রী ইতি আক্তার। এ দিন রাতে রুটি খেতে দেওয়া হয় খামিরুলকে। খাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খামিরুলের মৃত্যু হয়।

পঞ্চগড় জজ কোর্টের আইনজীবী দেলওয়ার হোসেন রাসেল বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের একটি কল রেকর্ড থেকে বাদীর পরিবার স্পষ্ট হয়, তাদের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। তাদের কথোপকথনে ধারণা করা হয়, খাবারে বিষ প্রয়োগ করে তাকে মারা হয়েছে। এ জন্য বাদী মামলা দায়ের করেন।’’

ঢাকা/নাঈম/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়