ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

যশোরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে পেট্রোল পাম্প দখলচেষ্টার অভিযোগ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৯, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১১:০৯, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
যশোরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে পেট্রোল পাম্প দখলচেষ্টার অভিযোগ 

যশোর প্রেস ক্লাবে রবিবার সংবাদ সম্মেলন করেন তনিমা তাসনুমা

যশোরের শার্শায় একটি পেট্রোল পাম্প দখলচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আনোয়ার হোসেন ওরফে আইনাল নামে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। জাল-জালিয়াতি ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পাম্পটি দখলে নিতে লাগাতার চাপ প্রয়োগ করছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। 

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) যশোর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য তনিমা তাসনুমা।

আরো পড়ুন:

অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন ওরফে আইনাল শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক।

লিখিত বক্তব্যে তনিমা তাসনুমা বলেন, তার বাবা গোলাম কিবরিয়া ১৯৯৫ সালে বাগআঁচড়া মৌজার ২৮৬৫ নং খতিয়ানের ৩৩৭৪ নং হাল দাগের ১৭ শতক জমি কিনে মেসার্স গোলাম কিবরিয়া ফিলিং স্টেশনটি স্থাপন করেন। ২০২২ সালে তিনি মারা যান। ২০২৩ সাল থেকে আনোয়ার হোসেন ওরফে আইনাল ও তার সহযোগীরা জাল দলিল তৈরি করে পেট্রোল পাম্পটি অনেকবার দখলের চেষ্টা করেন। 

তিনি জানান, বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে একটি হস্তান্তর চুক্তিনামা তৈরি করেন তারা। এ ঘটনায় জাল দলিলের বিরুদ্ধে তিনি ও স্বাক্ষর জালের ঘটনায় বিচারক বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলা দুইটি চলমান।  সর্বশেষ তারা গত ১৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে ফিলিং স্টেশনে ঢুকে পাম্পের চাবিসহ সব কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয় এবং ম্যানেজারকে পাম্প থেকে বের করে দেন। বিষয়টি পুলিশকে জানালে আনোয়ার গং চলে যায়। তবে তারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পাম্প দখল করার হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এ অবস্থায় সম্পদ রক্ষায় বিএনপির শীর্ষ নেতা ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি। 

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আনোয়ার হোসেন। তিনি দাবি করেন, ৬ কোটি ৮ লাখ টাকা দিয়ে জমি ও পাম্প ক্রয় করেন। ১৯৯৯ সাল থেকে পাম্পটি পরিচালনা করছেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত পাম্প তার দখলে ছিল। গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী সন্তানরা দলিল ও চুক্তিনামা মানেন না। তারা পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতি ও পুলিশকে দিয়ে দখল করে নিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকনের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আলীম জানান, মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। একই সঙ্গে অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন জামিনে থাকাই তার বিরুদ্ধে এখনই কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না। 

ঢাকা/রিটন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়