ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টার মামলা

এএসপি নাজমুস সাকিবকে গ্রেপ্তার দাবি ভুক্তভোগী নারীর

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪২, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১৮:৫৯, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
এএসপি নাজমুস সাকিবকে গ্রেপ্তার দাবি ভুক্তভোগী নারীর

বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ, প্রতারণা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তিনটি মামলা থাকলেও কিশোরগঞ্জের ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুস সাকিব গ্রেপ্তার হননি। এমনকি, জামিন না নিয়েও তিনি পুলিশে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন জানিয়ে তাকে দ্রুত দায়িত্ব থেকে সরিয়ে গ্রেপ্তারের দাবি করেছেন ভুক্তভোগী নারী। তবে এএসপি নাজমুস সাকিব তার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।  

রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এএসপি নাজমুস সাকিবের বিচার দাবি করেন। ওই নারী ঢাকায় কর্মরত একজন সরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা।

আরো পড়ুন:

সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী বলেন, ‘‘২০২৩ সালের ১৯ জুন ফেসবুকে পাত্রী চাওয়ার পোস্ট থেকে নাজমুস সাকিবের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।’’

ভুক্তভোগী নারী আরো বলেন, ‘‘নাজমুস সাকিব তখনো আমাকে জানাননি, তিনি বিবাহিত এবং তার সন্তান রয়েছে। কিছু দিন পর আমি জানতে পারি, নাজমুস সাকিব একইসঙ্গে শিক্ষা ক্যাডারের এক নারী কর্মকর্তার সঙ্গেও সম্পর্কে জড়িয়েছেন। বিয়ের দাবি তুললে সাকিবের পরিবারের সদস্যরা আমার ওপর হামলা চালান।’’ এরপর তিনি আদালতে হত্যাচেষ্টার মামলা করেন বলে জানান।

সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তিনটি মামলা করেছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের মামলাটি চলতি বছরের ২০ মে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ দায়ের করা হয়। আদালতের নির্দেশে শাহবাগ থানায় এজাহার হিসেবে এটি গ্রহণ করা হয়। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।

ওই নারী অভিযোগ করেন, ‘‘মামলাগুলোর তদন্তে প্রভাব খাটানো হচ্ছে। পিবিআই দুই মামলায় ‘ফাইনাল রিপোর্ট’ দিলেও আমি সেই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছি।’’ এ সময় তিনি ওই দুটি মামলার সঠিক তদন্ত দাবি করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এএসপি নাজমুস সাকিব বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি ভৈরবে থাকি, আর তিনি ঢাকায় থাকেন। কীভাবে তার সঙ্গে এমন সম্পর্ক হতে পারে? মামলার তদন্ত চলছে। তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। তদন্তে যা হওয়ার, হবে।’’

এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, ‘‘মামলাটি তদন্তাধীন। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। পুরো বিষয়টি ক্লোজলি মনিটর করা হচ্ছে। আপাতত এর বেশি কিছু বলতে চাই না।’’

যোগাযোগ করা হলে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ঢাকা/রুমন/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়