শহীদ আবরার ফাহাদ বাংলাদেশের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক: ভিপি সাদিক
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
বৃহস্পতিবার রাতে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেন ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি আবু সাদিক কায়েম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নবনির্বাচিত ভিপি আবু সাদিক কায়েম বলেছেন, “শহীদ আবরার ফাহাদ বাংলাদেশের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। তিনি আধিপত্য ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের প্রেরণার বাতিঘর। এ কারণেই তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে খুনি হাসিনা ও তার সহযোগীরা (নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ)।”
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামের কবরস্থানে আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
আবু সাদিক কায়েম বলেন, “শহীদ আবরার ফাহাদ ভাই যে প্রতিবাদের পথ দেখিয়েছেন, তার ভিত্তিতেই জুলাইয়ে বিপ্লব হয়েছে। আবরার ফাহাদ যে চেতনা ও আকাঙ্খা নিয়ে লড়েছেন, জুলাইয়ের শহীদ ও গাজীরাও সেই আকাঙ্খা ধারণ করেছিলেন।”
তিনি বলেন, “শহীদ আবরার ফাহাদের প্রতিবাদ থেকেই বাংলাদেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসে গণজাগরণ তৈরি হয়েছে। গত ১৬ বছরে ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থায় ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস চালিয়ে শিক্ষার্থীদের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। যে কেউ আধিপত্য বা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বললেই তাকে হত্যা করা বৈধ হয়ে উঠেছিল। বাংলাদেশ কার্যত ভারতের এক সাবলেট উপনিবেশে পরিণত হয়েছিল, যেখানে ভারতের ইচ্ছামতো সবকিছু চলেছে।”
আবু সাদিক কায়েম বলেন, “আমাদের অর্থনৈতিক শোষণ, রাজনৈতিক নিপীড়ন ও সাংস্কৃতিক গোলামির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। এই অবস্থার মধ্যেই আবরার ফাহাদ দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন, প্রতিবাদ করেছিলেন। তাকে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। স্ শহীদদের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করছি।”
তিনি ঘোষণা দেন, “ডাকসুর পক্ষ থেকে ৭ অক্টোবরকে ‘আগ্রাসন বিরোধী দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এ দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকার, প্রশাসন ও দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।”
আবু সাদিক কায়েম অভিযোগ করে বলেন, “জুলাইয়ের আকাঙ্খা যথাযথভাবে ধারণ করছে না অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আমাদের শহীদরা যে স্বপ্ন নিয়ে জীবন দিয়েছেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে অনুরোধ করছি। তা না হলে, হাসিনা বা পূর্ববর্তী ফ্যাসিবাদীদের যেসব পরিণতি হয়েছে, তার চেয়েও ভয়াবহ পরিণতি তাদের হবে।”
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ