স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার দাবি সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম
স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠাসহ পাঁচ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ‘স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও এন্ট্রি পদ নবম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ’ খুলনা অঞ্চল কমিটি সংবাদ সম্মেলন করেন।
স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠাসহ পাঁচ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। রবিবার (৫ অক্টোবর) খুলনা প্রেস ক্লাবের হুমায়ূন কবীর বালু মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ‘স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও এন্ট্রি পদ নবম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ’ খুলনা অঞ্চল কমিটির সদস্য সচিব ও সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক ওমর ফারুক।
সংবাদ সম্মেলনে জানান হয়, আগামী ১৯ অক্টোবরের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হলে মানববন্ধন, বিভাগীয় শিক্ষক সমাবেশ এবং ঢাকায় মহাসমাবেশ আয়োজনসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০৩ সালের জাতীয় শিক্ষা কমিশনের (অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিয়া) সুপারিশ ও শিক্ষানীতি ২০১০-এ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকা মাধ্যমিকের উন্নয়নে স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এতে আরো বলা হয়, গত বছর জুলাই বিপ্লবের পর ৪ সেপ্টেম্বর সচিব কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে সংস্কার পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই আলোকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর সংস্কার পরিকল্পনা দাখিল করে। যেখানে মাউশিকে দুটি অধিদপ্তরে রূপান্তরের প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা; সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষকের এন্ট্রিপদ নবম গ্রেডে উন্নীত করে চারস্তরের পদসোপান সৃষ্টি; অনতিবিলম্বে আঞ্চলিক উপপরিচালকের প্রশাসনিক এবং আর্থিক ক্ষমতা সংরক্ষণসহ মাধ্যমিকের সকল কার্যালয়ের স্বতন্ত্র ও মর্যাদা রক্ষা; বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার সকল শূন্যপদে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন এবং বকেয়া সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেলের মঞ্জুরি আদেশ বাস্তবায়নের দাবি তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ‘স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও এন্ট্রি পদ নবম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের’ খুলনা অঞ্চল কমিটির আহ্বায়ক এবং মাউশির উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, খুলনা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান, খুলনা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. ফারুকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল