ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়ন দাবিতে গণসমাবেশ

যশোর (অভয়নগর) সংবাদদাতা  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৩৭, ৫ অক্টোবর ২০২৫   আপডেট: ২২:১৯, ৫ অক্টোবর ২০২৫

যশোরে ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়নসহ ছয় দফা দাবিতে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৫ অক্টোবর) ভবদহ দিবসে ‘ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির’ আয়োজনে যশোরের মশিয়াহাটি উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গণসমাবেশ করা হয়। 

সংগঠনের আহ্বায়ক রণজিৎ বাওয়ালীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ, সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী আব্দুল হামিদ, সদস্য সচিব চৈতন্য কুমার পাল, ফিলিস্তিন সংহতি কমিটি বাংলাদেশের আহ্বায়ক ডা. অধ্যাপক হারুন অর রশিদ, সংগঠনের উপদেষ্টা তসলিম উর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শেখর বিশ্বাস ও শিবপদ বিশ্বাস।

আরো পড়ুন:

এ সময় বক্তারা বলেন, যশোর জেলার মণিরামপুর, অভয়নগর, কেশবপুর, সদর (আংশিক) এবং খুলনা জেলার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা (আংশিক) উপজেলার ভবদহ অঞ্চলে প্রতিবছর জলাবদ্ধতার কারণে বাড়িঘর, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, শ্মশান, মসজিদ, মন্দির, খেলার মাঠ, রাস্তাঘাট, ফসলী জমি ডুবে যায়। মানুষ সৃষ্ট এই জলবদ্ধতা থেকে বাঁচার তাগিদে এলাকার মানুষ লাগাতার সংগ্রাম করে আসছে। 

তারা বলেন, সরকার ভবদহ অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এ বিষয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। 

গণসমাবেশে ‘ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির’ পক্ষ থেকে ছয়টি দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো, দ্রুত আমডাঙ্গা খালের জমি অধিগ্রহণ ও সংস্কার কাজ শুরু করা; ৮১ কিলোমিটার নদী খননের কাজ শুরু করা; বিলে বিলে টিআরএম চালু; ২১ ভেন্টের সকল গেট খুলে দেওয়া; ঘের নীতিমালা—২০১৯ বাস্তবায়ন এবং ২০১৬ সালের ৫ অক্টোবর নওয়াপাড়ায় পুলিশের হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচার করা।  

গণসমাবেশে আরো বলা হয়, গৃহীত প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য জনপদের মানুষ ঐক্যবদ্ধ। তবে অতীতের মতো একটি বিশেষ চক্র টিআরএম বাস্তবায়নে সরকারি সিদ্ধান্ত বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, পর্যায়ক্রমে বিলে বিলে টিআরএম এবং উজানে নদী সংযোগ না হলে এ অঞ্চল জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে স্থায়ীভাবে পানির তলে চলে যাবে। নিজেদের এবং জনপদের স্থায়ী জলবদ্ধতা থেকে মুক্তির জন্য জমির মালিকদের বিলে বিলে টিআরএম কার্যকর করতে সহযোগিতার আহ্বান জানান হয়।  

এতে আরো বলা হয়, বিলে টিআরএম হলে বিল ভরাট ও উঁচু হবে। জমি চাষাবাদের উপযোগী হয়ে উঠবে। বিলের জমির মালিক, ঘের মালিক, বর্গাচাষি, শ্রমজীবী, মৎস্যজীবী এবং বিলের উপর নির্ভরশীল প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সবাই ক্ষতিপূরণের আওতাভুক্ত হবে।

গণসমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলনের নেতা জিল্লুর রহমান ভিটু, কপোতক্ষ নদ বাঁচাও আন্দোলনের নেতা অ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান হিরু, মুক্তেশ্বরী সংস্কার আন্দোলনের নেতা আলাউদ্দিন, জুলাই অভ্যুত্থানে যশোরের সমন্বয়ক রাশেদ খান, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনোজিত বালা, মাসুদ শেখ, আব্দুল মান্নান মোল্লা, বাপার আবু সাঈদ প্রমুখ। 

ঢাকা/প্রিয়ব্রত/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়