খুলনায় পোস্টার, প্যানা ও বিল বোর্ড অপসারণে মাঠে প্রশাসন
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম
রবিবার বিকেল থেকে খুলনায় সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থীদের পোস্টার, প্যানা ও বিল বোর্ড অপসরণ শুরু করেছে কেসিসি ও জেলা প্রশাসন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থীদের পোস্টার, প্যানা ও বিল বোর্ড অপসারণের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। এ জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে মাইকিংও করা হয়। তবে, খুলনার নগরী ও জেলার ৬টি সংসদীয় আসনের অধিকাংশ প্রার্থী এখনো তাদের নিবাচনী পোস্টার, প্যানা ও বিল বোর্ড অপসারণ করেননি।
ইতোমধ্যে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) এসব পোস্টার, প্যানা ও বিল বোর্ড অপসারণ শুরু করেছে। জেলা প্রশাসন রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) থেকে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) অপসরণ কাজ অব্যাহত রয়েছে।
গত ১১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ত্রয়োদশ জাতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন।
নির্বাচন কমিশন থেকে এবারের নির্বাচনের আচরণ বিধি ব্যাখ্যা করা হয়। জারি করা হয় পরিপত্র। তাতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব সম্ভাব্য প্রার্থীর পোস্টার, বিল বোর্ড ও প্যানা অপসারণ করতে বলা হয়। গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ সময় পার হয়েছে।
রবিবার সকালে নিরালা প্রান্তিকা আবাসিক মসজিদের সামনে পাশাপাশি টানানো অবস্থায় দেখা যায় খুলনা-২ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও জামায়াত ইসলামীর প্রার্থী অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলালের প্যানা। শান্তিধাম মোড়, ডাকবাংলো মোড়ে বিশাল বড় প্যানা টানানো রয়েছে ধানের শীষের প্রার্থীর। শুধু এসব এলাকা নয়, নগর জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রার্থীদের প্যানা ও বিল বোর্ড।
নিউ মার্কেট এলাকায় বড় বড় বিল বোর্ড রয়েছে খুলনা-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুলের। রাস্তার অধিকাংশ স্থানে তার বিল বোর্ড ও প্যানা টানানো রয়েছে। এই আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনয়নপ্রত্যাশী এস এম আরিফুর রহমান মিঠুর শাপলা কলির পোস্টারে ছেয়ে গেছে। খুলনা-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী তানভির সরদার ইমন-এর ট্রাক মার্কারও প্যানা এখনো লাগানো আছে।
রায়েরমহল বাজার থেকে ডুমুরিয়া পর্যন্ত রাস্তার অধিকাংশ জায়গা ও অলি-গলিতে ছেয়ে আছে খুলনা-৫ আসনের জামায়াত ইসলামীর প্রার্থী অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপি প্রার্থী আলি আজগর লবি, খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মুফতি আব্দুল কাইউম জমাদ্দার, সাবেক ছাত্রনেতা শফি মোহাম্মদ খানের প্যানা ও পোস্টার। খুলনা-১, খুলনা-৩, খুলনা-৪ ও খুলনা-৬ নির্বাচনী এলাকায় অধিকাংশ জায়গায় এবং গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও একই অবস্থা।
খুলনা জেলা প্রশাসক আ স ম জামসেদ খোন্দকার বলেন, “সবাইকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সিটি করপোরেশন আমাদের কাছে ২৪ ঘণ্টা সময় বেশি চেয়েছে। নগরীতে রবিবার বিকেল থেকে অভিযান শুরু হয়েছে। জেলার চারটি সংসদীয় আসনেও অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।”
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ