পর্যটকে পূর্ণ কুয়াকাটা
পটুয়াখালী (উপকূল) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত।
কুয়াশাস্নাত সকাল, সাথে তীব্র শীত। তারপরও পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি খ্যাত পটুয়াখালীর পর্যটন কেন্দ্র সাগরকন্যা কুয়াকাটা। তবে ভোরে শীত এবং কুয়াশার কারনে সীবিচ এলাকায় পর্যটকের উপস্থিতি কিছুটা কম লক্ষ্য করা গেছে। অধিকাংশ পর্যটকই হোটেল-মোটেলে অবস্থান করছেন।
বড়দিনসহ সরকারি তিন দিনের ছুটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কুয়াকাটায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দলে দলে পর্যটকরা ভিড় করতে শুরু করেন। পর্যটকদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠে সৈকতের জিরো পয়েন্ট, লেম্বুরবন, জাতীয় উদ্যান, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন এলাকা।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে কুয়াশাস্নাত সৈকতে অবস্থানরত পর্যটকরা বালিয়ারড়ীতে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন। অনেকে আবার প্রিয়জনকে নিয়ে ছবি তুলছেন। অনেকে আবার বেঞ্চে বসে পুরো সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। অনেকে আবার প্রিয়জনের হাত থেকে সৈকতের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অনেকে স্পিড বোটে ঘুরে দেখছেন চর বিজয় ও ফাতরার বনসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পট।
তবে কুয়াশা এবং তীব্র শীতের কারণে সকালে সমুদ্রে গোসলে নামেনি কেউ। আগতদের ভিড়ে বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। শতভাগ বুকিং রয়েছে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্টহাউসগুলো।
ঢাকার কাকরাইল থেকে আসা পর্যটক সায়মা-সোহান দম্পত্তি বলেন, “আজ কুয়াকাটার পরিবেশ বেশ ভালই লাগছে। সকাল থেকে প্রচুর কুয়াশা রয়েছে, এছাড়া তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। সৈকত এলাকায় এত কুয়াশা এর আগে দেখিনি। নতুন অভিজ্ঞতা তৈরি হলো।”
শৈশবে ফিরে যাওয়া...
তারা অভিযোগ করে বলেন, “আমাদের কাছে হোটেল ভাড়া এবং খাবার মূল্য অনেক বেশি মনে হয়েছে। এসব বিষয়গুলোতে প্রশাসনের নজরদারি দরকার।”
টাঙ্গাইল থেকে আসা পর্যটক রেদোয়ান হোসেন বলেন, “বন্ধুরা মিলে কুয়াকাটা বেড়াতে এসেছিলাম গতকাল। এখানে লাল কাকড়ার চর, গঙ্গামতি ও লেমুরবন সব কিছুই বেশ ভালো লেগেছে। তবে দুঃখের বিষয় হলো সকাল সকাল গঙ্গামতি গিয়েও ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যোদয় দেখতে পারিনি। এছাড়া এখানকার আবহাওয়া পরিবেশ এবং সিকিউরিটি সবকিছুই ভালো ছিল। গতকাল আমরা বন্ধুরা মিলে সমুদ্র স্নান করেছিলাম, সেই অনুভূতি আমরা কোনদিন ভুলব না।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা সর্বদা সচেষ্ট রয়েছি। আমাদের পাশাপাশি মাঠে নৌ-পুলিশ ও থানা পুলিশের সদস্যরা মাঠে কাজ করছে।”
ঢাকা/ইমরান/এস