চট্টগ্রামের কাছে পাত্তা পেল না নবাগত নোয়াখালী এক্সপ্রেস
বিপিএলের দ্বাদশ আসর জয় দিয়ে শুরু করেছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নোয়াখালী এক্সপ্রেসকে তারা হারিয়েছে ৬৫ রানে।
টস জিতে চট্টগ্রাম আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে। এরপর দারুণ বোলিংয়ে ১৬.৫ ওভারে নোয়াখালীকে ১০৯ রানে অলআউট করে তারা।
চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে তানভীর ইসলাম ৪ ওভারে ৩৯ রানে ৩টি উইকেট নেন। অধিনায়ক মাহেদী হাসান ৪ ওভারে ১৭ রানে নেন ২টি উইকেট। ৪ ওভারে ১৪ রানে শরীফুল ইসলামও নেন ২টি উইকেট। এছাড়া মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ২.৫ ওভারে ১৮ রানে নেন ২টি উইকেট।
চট্টগ্রামের বোলিং তোপে নোয়াখালীর মাত্র তিনজন ব্যাটার দুই অঙ্কের কোটায় রান করতে পারেন। তার মধ্যে মাজ সাদাকাত ২৭ বলে ৩টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৩৮ রান। হায়দার আলী ২ চার ও ২ ছক্কায় করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান। এছাড়া হাবিবুর রহমান সোহান ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ১৫ রান।
তার আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রামের শুরুটা ছিল মিশ্র অভিজ্ঞতার। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া ওপেনার নাঈম শেখ আজ নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ১১ বলে মাত্র ১১ রান করে শুরুতেই বিদায় নেন তিনি। তিনে নামা মাহফিজুল ইসলাম (১৬) ও চারে আসা মাহমুদুল হাসান জয় (১৭) উইকেটে থিতু হওয়ার আভাস দিলেও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন।
তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে নোয়াখালীর বোলারদের শাসন করেন মির্জা তাহির বেগ। ইনিংসের প্রথম থেকে শেষ বল পর্যন্ত ক্রিজে টিকে থেকে ৬৯ বলে ৮০ রানের এক অনবদ্য ও দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন তিনি। মূলত তার এই একক প্রচেষ্টাই চট্টগ্রামকে লড়াকু পুঁজি এনে দেয়।
মাঝপথে রানের গতি সচল রাখতে ঝোড়ো ইনিংস খেলেন অধিনায়ক শেখ মেহেদী হাসান। মাত্র ১৩ বলে ২৬ রানের এক ক্যামিও খেলে তিনি দলের রানকে দেড়শ পার করতে সাহায্য করেন। শেষ দিকে আবু হায়দার রনির অপরাজিত ৪ রানের সৌজন্যে ১৭৪ রানে থামে চট্টগ্রামের ইনিংস।
নোয়াখালী এক্সপ্রেসের হয়ে বল হাতে নজর কেড়েছেন সাব্বির হোসেন। মাঝের ওভারে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পাশাপাশি এক ওভারে গুরুত্বপূর্ণ দুই উইকেট শিকার করে চট্টগ্রামকে চাপে ফেলার চেষ্টা করেন তিনি। এছাড়া মাজ সাদাকাত, মেহেদী হাসান রানা এবং আফগান রহস্যময় স্পিনার জহির খান প্রত্যেকেই একটি করে উইকেট তুলে নেন।
ঢাকা/আমিনুল