তারেক রহমানের যে ঘটনা বিশেষভাবে নজর কেড়েছে
নেতাদের অনুরোধ বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করে সাধারণ চেয়ারে বসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: বিএনপির সৌজন্যে
প্রায় দেড় যুগের নির্বাসিত জীবন শেষে দেশে ফিরে এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসনে বসার অনুরোধ জানানো হলেও তিনি তা গ্রহণ না করে সাধারণ চেয়ারে বসেন। তার এই আচরণ মুহূর্তেই উপস্থিত নেতাকর্মী ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
অনুষ্ঠানস্থলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তারেক রহমানকে প্রধান অতিথির চেয়ারে বসতে অনুরোধ জানানো হয়। তবে তারেক রহমান বিনয়ের সঙ্গে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে সাধারণ চেয়ারে বসে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
বিএনপির শীর্ষ নেতার এমন সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। তাদের মতে, ক্ষমতা ও মর্যাদার প্রদর্শনের পরিবর্তে সাধারণ মানুষের কাতারে নিজেকে রাখার এই প্রবণতা রাজনীতিতে নতুন সংস্কৃতির ইঙ্গিত দেয়।
তারেক রহমানের এই আচরণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনা ও প্রশংসার জন্ম দিয়েছে।
ফেসবুকে ওবাইদুল হক ওবাইদ নামে একজন লিখেছেন, “এতে বরং নিজের মর্যাদাই বৃদ্ধি পেল।” তার মতে, আনুষ্ঠানিক মর্যাদার চেয়ারে না বসেও একজন নেতা যে সম্মান অর্জন করতে পারেন, তার বাস্তব উদাহরণ এটি।
শোভন চন্দ নামে আরেকজন মন্তব্য করেন, “অনেক পরিপূর্ণ হয়ে এসেছেন। এমন লিডার বাংলায় খুব দরকার। সম্পূর্ণ মেধা ও সৃজনশীলতা দিয়ে দেশের হাল ধরার জন্য বিনীত অনুরোধ রইল।” তার বক্তব্যে তারেক রহমানের রাজনৈতিক পরিপক্বতা ও নেতৃত্বগুণের প্রতি প্রত্যাশার প্রতিফলন দেখা যায়।
সাদিকুল আহমেদ আদিব লিখেছেন, “এইসব ছোট্ট অথচ জরুরি খুঁটিনাটি বিষয় যদি রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে প্র্যাকটিস করাতে পারেন, তাহলে অনেক পরিবর্তন আসবে। আর আওয়ামী-ভারতীয় আধিপত্যের ব্যাপারে আপস না করেই চলতে চায় বাংলাদেশের মানুষ— এ ব্যাপারে নির্বাচনের আগেই ম্যান্ডেট আকারে উপস্থাপন করা জরুরি।”
অনেকের মতে, চেয়ার ছেড়ে সাধারণ চেয়ারে বসা হয়তো প্রতীকী একটি ঘটনা, কিন্তু এর বার্তা গভীর। দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরে তারেক রহমান যে ভিন্নধর্মী নেতৃত্বের ইঙ্গিত দিচ্ছেন, তা বিএনপির রাজনীতিতে যেমন নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে, তেমনি সামগ্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতিতেও পরিবর্তনের আশা জাগাচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, এই বিনয়ী আচরণ ভবিষ্যতের রাজনীতিতে ইতিবাচক রূপান্তরের সূচনা হতে পারে।
ঢাকা/আলী/রাসেল