পরীমণি বললেন, ‘একদম শিরদাঁড়ায় এসে বিঁধলো’
পরীমণি
দীর্ঘ প্রায় দেড় দশক পর সপরিবারে দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমানসহ দলের নেতাকর্মীরা।
বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে সড়কপথে একটি বিশেষ বাসযোগে রাজধানীর পূর্বাচল ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের উদ্দেশে রওনা দেন তারেক রহমান। এ সময় সড়কের দুপাশে দাঁড়িয়ে থাকা দলীয় নেতাকর্মীরা হাত নেড়ে তাকে স্বাগত জানান।
দীর্ঘ প্রায় তিন ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর তিনি মঞ্চে পৌঁছে উপস্থিত লাখো মানুষের উদ্দেশে ভাষণ দেন। বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, “১৯৭১ সালে এ দেশের মানুষ যেমন স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, ঠিক তেমনি ২০২৪ সালে সর্বস্তরের মানুষ একসঙ্গে দাঁড়িয়ে এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছে। আজ বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চায়, গণতন্ত্রের অধিকার ফিরে পেতে চায়।”
তারেক রহমানের এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা তৈরি করেছে। অনেকেই তার বক্তব্যের ভূয়সী প্রশংসা করছেন।
এরই মধ্যে ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত অভিনেত্রী পরীমণি তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এ পোস্টে কারো নাম উল্লেখ না করে পরীমণি লেখেন, “আজ এ দেশের মানুষ চায়… যখন বললেন, একদম শিরদাঁড়ায় এসে বিঁধলো। কী যে এক মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়ল চারিদিকে! শান্তি নেমে আসুক সবার জীবনে—আর কিছু চাওয়ার নেই।”
পরীমণির এই মন্তব্য মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দেয়। নেটিজেনদের অনেকে পরীমণির ভাবনার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন। পরীমণি কেন কাকে উদ্দেশ্য করে এই স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তা পরিষ্কারভাবে না জানালেন, নেটিজেনরা দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে ভুল করেননি।
কবীর নামে একজন এ পোস্টের মন্তব্যের ঘরে লেখেন, “এই কথাটুকুই যেন বুকের গভীরে গিয়ে দাঁড়ায়। কিছু কথা শোনা যায় না শুধু, অনুভব করা যায়। সেই অনুভব থেকেই জন্ম নেয় আশা, ঐক্য আর শান্তির আকাঙ্ক্ষা। দেশের আকাশে শান্তি নামুক, মানুষের জীবনে আসুক স্থিরতা—এর চেয়ে বড় চাওয়া আর কী হতে পারে।” এমন অনেক মন্তব্য কমেন্ট বক্সে শোভা পাচ্ছে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত