শিশু বন্দিদের ওপর চরম নির্যাতন চালাচ্ছে ইসরায়েল
কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনি পুরুষদের ওপর ইসরায়েলের অমানুষিক নির্যাতনের খবর নতুন কিছু নয়। এবার শিশু বন্দিদেরও ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স মিডিয়া অফিসের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ইসরায়েলের কারাগারে ৩৫০ শিশু বন্দি রয়েছে। এই শিশুধের মারধর করেছে ইসরায়েলি কারারক্ষীরা। এছাড়া তাদের অনাহারে রাখাও হচ্ছে। এই শিশুদের সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ইসরায়েলি কারাগারে ৯ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছে। তারা ‘নির্যাতন, অনাহার, চিকিৎসা অবহেলা এবং ধীর মৃত্যুদণ্ডের সম্মুখীন হচ্ছেন।
বন্দি অ্যাডভোকেসি গ্রুপটি জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা শুরু হওয়ার পর থেকে কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিরা ‘নির্যাতন ও দমনে নজিরবিহীন তীব্রতা’ অনুভব করেছে।
গ্রুপটি বলেছে, “প্রতিদিনের পদ্ধতিগত দমনের মধ্যে রয়েছে: প্রচণ্ড মারধর, টিয়ার গ্যাস, বৈদ্যুতিক শক, রাবার বুলেট, কুকুর লেলিয়ে দেওয়া এবং রাতের অভিযান। ড্যামন কারাগারে মহিলা বন্দিদের উপর চালানো হয়: মারধর, হাত-পা বেঁধে রাখা, চোখ বেঁধে রাখা, ঠান্ডার সংস্পর্শে নিয়ে যাওয়া, কম্বল এবং পোশাকের তীব্র অভাব, স্যানিটারি প্যাড প্রদানে অস্বীকৃতি এবং অনাহার।”
অন্যান্য ধরণের দমনের মধ্যে রয়েছে নির্জন কারাবাস, চিকিৎসায় অবহেলা এবং চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা, অনাহার ও গাদাগাদি করে রাখা।
গ্রুপটি বলেছে, “শিশু বন্দি প্রায় ৩৫০ জন, যারা মারধর, অনাহার, অসুস্থতা এবং পরিবারের সাথে দেখা করতে দিতে অস্বীকৃতির শিকার হয়েছেন।”
অ্যাডভোকেসি গ্রুপের মতে, ওফের, নেগেভ, মেগিদ্দো, রামলা, শাত্তা, গিলবোয়া, গ্যানোট, দামন এবং সদে তাইমান ও গিলাদ আটক শিবিরের ইসরায়েলি কারাগারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
ঢাকা/শাহেদ