ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১২ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

তারেক রহমানের ছোট ছোট আচরণে মুগ্ধ বাঁধন

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:১১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫   আপডেট: ২১:২২, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
তারেক রহমানের ছোট ছোট আচরণে মুগ্ধ বাঁধন

তারেক রহমান, আজমেরী হক বাঁধন

দীর্ঘ ১৭ বছর পর গতকাল দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উষ্ণ অভ্যর্থনায় প্রিয় নেতাকে বরণ করে নিয়েছেন দেশের লাখ লাখ মানুষ। তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে মানুষের মনে আশার সঞ্চার হয়েছে। এ তালিকায় রয়েছেন জুলাই-গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় ভূমিকা রাখা অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বাঁধন তার ফেসবুকে বাংলাদেশের পতাকার একটি ছবি পোস্ট করে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন। কাজ, ব্যক্তিগত বিষয়ের পাশাপাশি তারেক রহমানকে নিয়েও মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন এই অভিনেত্রী।  

আরো পড়ুন:

লেখার শুরুতে আজমেরী হক বাঁধন বলেন, “শুটিং, ভ্রমণ, পরিকল্পনা আর জীবনের ভারসাম্য রক্ষা নিয়ে গত কয়েক দিন ভীষণ ব্যস্ততায় কেটেছে। আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞতা বোধ করছি। আমি এমন সব প্রজেক্টে কাজ করছি, যা সত্যিই আমাকে অনুপ্রাণিত করে। গত বছর দুটি শক্তিশালী চলচ্চিত্রের অংশ ছিলাম। একটি ইতিমধ্যে রটারডাম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, অন্যটিও আরো বড় কোনো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে জায়গা করে নেবে। এর কোনোটাই ভাগ্যের ফল নয়, এসবই বছরের পর বছর ধরে করা পরিশ্রম, ধারাবাহিকতা এবং সততার ফসল।” 

 

আজমেরী হক বাঁধন


ঈর্ষান্বিত কিছু শিল্পীর কথা স্মরণ করে আজমেরী হক বাঁধন বলেন, “রেহানা’ এর পর অভিনেত্রী হিসেবে আমার যাত্রাপথের দুয়ার এমনভাবে খুলে গেছে, যা কখনো কল্পনাও করিনি। এই সুযোগগুলো এসেছে অধ্যবসায় থেকে, কোনো শর্টকাট উপায়ে নয়। তবে হ্যাঁ, কিছু শিল্পীকে ঈর্ষা, চরিত্রহনন আর অপমানের পথ বেছে নিতে দেখে ব্যথিত হই। এই বিষাক্ত সংস্কৃতি আমাদের সৃজনশীল কমিউনিটিকে দুর্বল করে। এটি আমাদের রাজনীতির সবচেয়ে খারাপ দিকগুলোর প্রতিচ্ছবি। আশা করি, তারা থামবে নিজেদের ভেতরের ক্ষত সারিয়ে তুলবে, আর ভালো কিছু বেছে নেবে।” 

লাখো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হন তারেক রহমান


তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে বাঁধনের মনে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। এ অভিনেত্রী বলেন, “আমাদের দেশ শোক, অবিচার আর অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে গেছে। আমরা সবাই তা অনুভব করেছি। কিন্তু সেই কষ্টের মাঝেও তারেক রহমান ও তার পরিবারের প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে নতুন করে আশার অনুভূতি খুঁজে পেয়েছি।” 

খানিকটা ব্যাখ্যা করে বাঁধন বলেন, “তার (তারেক রহমান) অন্তর্ভুক্তিমূলক ভাষা, স্ত্রী ও কন্যার প্রতি প্রদর্শিত সম্মান, তার জন্য প্রস্তুতকৃত চেয়ারে না বসে সাধারণ প্লাস্টিকের চেয়ারে বসার বিনয়—এসবই আমার দৃষ্টি কেড়েছে। এমনকি, পোষা বিড়ালের প্রতি তাদের দেখানো মমত্ববোধ আমাকে স্পর্শ করেছে। সহমর্মিতা আর নেতৃত্ব—দুটোই ঘর থেকে শুরু হয়।” 

তারেক রহমানের ছোট ছোট আচরণগুলো মূল্যবান বলে মনের করেন বাঁধন। তার মতে, “এই আচরণগুলো দেখতে ছোট মনে হতে পারে, কিন্তু রাজনীতিতে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়গুলো ইঙ্গিত দেয়, ক্ষমতা কি বিশেষাধিকার নিয়ে, না কি মানুষের জন্য। আশা করি, আমাদের নেতারা এখন প্রমাণ করবেন জবাবদিহিতা, সহমর্মিতা আর সাহস শুধু শব্দে বন্দি নয়। আমাদের দেশ এমন নেতৃত্বের দাবিদার—যারা শাসন করবে না, সেবা করবে।” 

আজমেরী হক বাঁধন


“জীবন এখনো সুন্দর। শান্তি অমূল্য এবং একে রক্ষা করতে হয়। সুখ বেছে নেওয়ার বিষয়। আজ আমি আশা, দায়িত্ববোধ ও শক্তিকে বেছে নিচ্ছি।” বলেন বাঁধন।

ঢাকা/শান্ত

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়