ফের অ্যাশেজ শেষ দুদিনে, ১৫ বছরের জয় খরা কাটাল ইংল্যান্ড
বক্সিং ডে টেস্ট মানেই ভিন্ন কিছু। বড়দিনের পর শুরু হওয়া টেস্ট ক্রিকেটকে ঘিরে অস্ট্রেলিয়ায় চলে উৎসব, উন্মাদনা। সেই উন্মদনায় প্রথম দিন শামিল হয়েছিল ৯৪ হাজার ১৯৯ জন দর্শক। আজ দ্বিতীয় দিনেও সেই একই জনস্রোত। ৯২ হাজার ৪৫ জন দর্শক হাজির মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে।
কিন্তু সেই উৎসব থেমে গেল দুদিনেই। অস্ট্রেলিয়াকে ৪ উইকেটে হারিয়ে চলমান অ্যাশেজে প্রথম জয় পেল ইংল্যান্ড। সঙ্গে ১৫ বছরের জয় খরাও কাটাল। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২০১৩ সালের পর প্রথম টেস্ট ম্যাচ জিতল তারা। এ সময়ে ১৮ টেস্ট খেলেছে তারা। যার ১৬টিই হেরেছে। ড্র করেছে ২টি।
ম্যাচের এপিটাফ লিখা হয়ে গিয়েছিল প্রথম দিনই। ২০ উইকেট হারানোর দিনই বোঝা গেছে দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় দিনেই ম্যাচের ফল বের হবে। প্রথম দিনের ধারাবাহিকতায় আজ দ্বিতীয় দিনে উইকেট পড়ল ১৬টি।
বিনা উইকেটে ৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে ১৫২ রান করা অসিরা এবার গুটিয়ে যায় ১৩২ রানে। প্রথম ইনিংসের ৪২ রানের লিডসহ তারা ইংল্যান্ডকে ১৭৫ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয়। সহজ এই টার্গেট তাড়া করতে গিয়েও নাকানিচুবানি খেল অতিথিরা। ৬ উইকেট হারিয়ে দিনের শেষ সেশনে লক্ষ্যে পৌঁছায় তারা। প্রথম তিন ম্যাচ হারের পর চতুর্থ টেস্টে জিতল বেন স্টোকসের দল।
দ্বিতীয় ইনিংসে অসিদের ব্যাটিং একটুও ভালো হয়নি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন ট্রেভিস হেড। ২৪ রান আসে অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের ব্যাট থেকে। ১৯ রান করেন ক্যামেরুন গ্রিন। বাকিরা কেউ তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেননি।
ইংল্যান্ডের পেসার ব্রাইডন কার্স ৩৪ রানে ৪ উইকেট নেন। এছাড়া স্টোকস ৩টি ও জশ টং ২টি উইকেট নেন।
জবাব দিতে নেমে জ্যাক ক্রলের ৩৭ ও বেন ডাকেটের ৩৪ রানে ভালো শুরু পায় ইংল্যান্ড। এই জুটি ভাঙার পর কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় সফরকারীরা। ব্রাইডন কার্স ৬, জো রুট ১৫ ও বেন স্টোকস ২ রানে আউট হন। সেখানে জ্যাকব বেথেলের ৪০ ও হ্যারি ব্রুকের অপরাজিত ১৮ রানের সুবাদে ইংল্যান্ড জয়ের মুখ দেখে।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে স্টার্ক, রিচার্ডসন ও বোল্যান্ড ২টি করে উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসে ৫ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন জশ টং।
আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি সিরিজের শেষ ম্যাচ শুরু হবে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে।
ঢাকা/ইয়াসিন