ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

স্মৃতিতে ভারতেশ্বরী হোমস

নাসরিন সুলতানা হুমা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪৮, ১৮ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৫:৫৯, ১৮ নভেম্বর ২০২০
স্মৃতিতে ভারতেশ্বরী হোমস

নারী শিক্ষা প্রসারে দেশের অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার প্রতিষ্ঠিত ভারতেশ্বরী হোমস (বি. হোমস)। এটি বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলায় অবস্থিত একটি আবাসিক স্কুল ও কলেজ।

অবশ্য আমি যখন এখানকার ছাত্রী ছিলাম, তখন সেটা ছিল শুধুই স্কুল। তবে আমার সময়ের আগেও এটা কলেজ ছিল। কোনো কারণে মাঝে তা স্থগিত ছিল। পরবর্তী সময়ে আবার কলেজ সেকশন চালু করে কর্তৃপক্ষ।

বি. হোমসের ছাত্রীদের দৈনন্দিন জীবন বিভিন্ন ছকে জড়িয়ে আছে। আজ তারই একটি দিক নিয়েই এই প্রচেষ্টা।

আমাদের বছরের ১২ মাসের মধ্যে দুই মাস ছুটি থাকতো। বাকি ১০ মাস একটানা আমরা হোমসেই থাকতাম। আর প্রতি মাসের শেষ রবিবার ছিল আমাদের প্যারেন্টস ডে। মাসে ওই একটা দিনের জন্য আমাদের অভিভাবকেরা আমাদের বড় বোন আর ছোটদের সঙ্গে নিয়ে আমাদের দেখতে আসতেন। অভিভাবকরা যার যার সাধ্যমতো সঙ্গে করে নিয়ে আসতেন গুড়া দুধ, ওভালটিন, মাল্টোভা, চিড়া মুড়ি, বিস্কুট, কেক, চানাচুরসহ নানা ধরনের শুকনো খাবার। রান্না করা যেকোনো খাবার আনা ছিল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কারণ সারামাস বি. হোমসের নিজস্ব স্টাইলের খাবার খাওয়ার পাশাপাশি হঠাৎ করে বাইরের রান্না করা খাবার খেয়ে স্টমাক আপসেট হতে পারে বা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে ছাত্রীরা। কেননা অভিভাবকেরা দূর-দূরান্ত থেকে আগের দিন বা আগের রাতে রান্না করা খাবার নিয়ে আসতেন মেয়েদের জন্য, যা খুব সঙ্গত কারণেই পথিমধ্যে নষ্ট হয়ে যেতে পারে খুব স্বাভাবিকভাবেই। যা তাদের জন্য খাওয়ার চেয়ে না খাওয়াই উত্তম হবে। আর এই মহৎ ভাবনা থেকেই রান্না করা খাবার আনা নিষিদ্ধ ছিল।

কিন্তু মা-বাবার মন বলে কথা। তারা তাদের বুকের ধন মানিককে রেখে সারামাস পঞ্চ ব্যাঞ্জন খেতেন। তাই ওই একদিনের সুযোগটা হাত ছাড়া করতে চাইতেন না কেউ। নানাবিধ ফাঁকি-ঝুঁকির আশ্রয় নিয়ে লুকিয়ে ছাপিয়ে ঠিকই কিছু না কিছু রান্না করা খাবার নিয়ে আসতেন। আহা কি মধুর স্মৃতিময় অনুভব! মনে হলেই আনন্দ বেদনায় আজও ঝরঝর করে চোখের জল গড়িয়ে পড়ে।

এদিকে বি. হোমসের নিয়মিত কর্মদিবসের অংশ হিসেবে কাকডাকা সকালে ঘুম থেকে ওঠে নিয়মিত চলতে থাকে ক্লাস, পড়াশোনা আর পরীক্ষার পাশাপাশি সকাল-বিকেল দুইবেলা প্রতিটি ছাত্রীর জন্য নির্ধারিত ক্লিনিং ডিউটি, সকাল-বিকেল দুইবার শরীর চর্চা, সন্ধ্যায় স্টাডি, টিভি দেখা, তিন বেলা আহার গ্রহণ, দুই বেলা স্ন্যাক্স বা চা চক্র তারপর রাতের ঘুম।

দৈনন্দিন এসব কাজের পাশাপাশি কিছু সাপ্তাহিক, মাসিক, বাৎসরিক কাজও ছিল। যেমন বি. হোমসের নিজস্ব নানা অনুষ্ঠান (জ্যাঠামনির জন্মদিন, পিকনিক, মিলাদ, পূজা, বড়দিন, বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা  ইত্যাদি) সহ স্থানীয় জাতীয় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দিবস যথাযথভাবে উদযাপন। হিন্দু-মুসলমান- বৌদ্ধ- খ্রিস্টান সব ধর্মের নানা ধরনের আচার অনুষ্ঠান পালন। বিশেষ করে জাতীয় দিবসগুলোতে বি. হোমসের পূরো ট্রুপ নিয়ে ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে গমন ও শরীরচর্চা প্রদর্শন। প্রতিবছরই অবধারিতভাবেই প্রথম পুরস্কার ছিল ভারতেশ্বরী হোমসের প্রাপ্য। মাইকে ভারতেশ্বরী হোমসকে ড্রিলে অংশ নেওয়ার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে করতালি দিয়ে স্বাগত জানাতেন উপস্থিত দর্শকবৃন্দ। এ এক চরম পাওয়া।  

এতগুলো কথার মাঝে এখনো আসল কথাটি কিন্তু আমি বলিনি। কারণ ওই বিষয়টি নিয়েই আমার আজকের এই উপস্থাপনা।

ভারতেশ্বরী হোমসে আমার অধ্যায়নকালে শিশু শ্রেণি থেকে এক্সট্রা দশম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীরা পড়াশোনা করতো। এর মধ্যে পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীদের মধ্য থেকে প্রায় সব শ্রেণির ছাত্রীদের সমন্বয়ে ছোট ছোট গ্রুপ গঠন করা হতো। একেক গ্রুপে প্রায় ৩০-৩৫ জন করে ছাত্রী থাকতো। আর গ্রুপের সংখ্যাটা মোটামুটি ৩০-৩৫ দাঁড়াতো। প্রতিটি গ্রুপে একজন করে ক্যাপ্টেন আর একজন করে ভাইস ক্যাপ্টেন থাকতো। এরা রান্না সংক্রান্ত বি. হোমসের বিভিন্ন নির্দেশনা অনুয়ায়ী নিজ নিজ গ্রুপ পরিচালনা করতো। প্রত্যেককে প্রতি এক মাস বা দেড় মাসে ঘুরে ঘুরে একবার করে দশমাসে মোটামুটিভাবে ৬/৭ বার এই রান্নার ডিউটি করতে হতো।

গ্রুপ গঠনের এই কাজটি করা হতো আমাদের বাৎসরিক ছুটির সময়। যে সময় বি. হোমসে শিক্ষক আর স্টাফ ছাড়া কোনো ছাত্রী থাকতো না। বিশেষ এই গ্রুপের নাম ছিল ‘রান্নার গ্রুপ’। এদের উপর দায়িত্ব দেওয়া হতো রান্নার সার্বিক ব্যবস্থাপনা। প্রতি ৩০-৩৫ দিন পর পর একদিনের জন্য কাকডাকা ভোর থেকে শুরু করে প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত গ্রুপের সবাই মিলে ওই দিনের জন্য রান্নার ডিউটি পালন করতো।

নাহ! এই গ্রুপগুলোর ছাত্রীরা সরাসরি কোনো রান্না করতো না। তবে রান্না ও তরকারি কাটা বাদ দিয়ে আর যা যা কাজ তাদের করতে হতো। রান্না ঘর থেকে শুরু করে ডাইনিং হল পর্যন্ত সবাই মিলে মিশে পালন করতো।  

বি. হোমসের সবাই যখন সুখনিদ্রায় কাতর, ঠিক তখন স্টাফরা প্রথমেই গ্রুপ ক্যাপ্টেনকে এরপর গ্রুপ ক্যাপ্টেন ভাইস ক্যাপ্টেনকে ঘুম থেকে ডেকে তুলতো। এর পর ওই ক্যাপ্টেন আর ভাইস ক্যাপ্টেন মিলে রুমে রুমে গিয়ে তাদের দলের অন্যান্য সদস্যদের ডেকে তুলতো।

বলাই বাহুল্য যে রান্নার ডিউটির দিনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রান্নার গ্রুপ সদস্যদের নৈমিত্তিক ক্লাসে অংশ নেওয়ার কোনো সুযোগই থাকতো না। ওই দিন ওরা পড়তো রঙ্গিন কাপড়ের তৈরি স্কাট আর সাদা ব্লাউজ (বি. হোমসে এই টপসকেই বলা হতো ব্লাউজ)।

আমাদের সময়ে বি. হোমসের চারতলা ভবনের চারতলাতেই ছিল বিরাট আকারের রান্না ঘর আর সুবিশাল ডাইনিং হল। ডাইনিং হল এতটাই বিশাল ছিল যে, এর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত দেখাই যেত না। তার পরেই ছিল বিশাল টিভি রুম।

তবে বর্তমানে বি. হোমসের স্কুল ও কলেজের মূল ভবনের পশ্চিম পার্শে স্থায়ী রান্না ঘর ডাইনিং হল নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে এখন ওই চারতলাটি রান্না ঘর বা ডাইনিং হল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে না। 

আমি যখন বি. হোমসের ছাত্রী ছিলাম তখন এর ছাত্রী সংখ্যা ছিল প্রায় ১,৪৫০ জন। এদের সবার জন্যই ছিল একসেট করে গ্লাস কাপ, প্লেট, চামচ বোনপ্লেট। এগুলো ছিল স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি। ঠিক কোন সময় বা সাল থেকে এগুলো ব্যবহার হয়ে আসছে, তা আমার জানা নেই। কিন্তু শুনেছি আজও নাকি সেগুলো বহাল তবিয়তে স্বদর্পে টিকে আছে। সেগুলো এখনো আগের মতোই ব্যবহৃত হচ্ছে।

রান্নার গ্রুপের মেয়েরা সকালেই দায়িত্বপ্রাপ্তর কাছ থেকে সারাদিন ব্যবহার করার জন্য বিপুল সংখ্যক হাড়ি-পাতিল গ্লাস, কাপ-প্লেট, চামচ, বোন প্লেট সঠিকভাবে বুঝে নিতো। পাশাপাশি সারাদিন রান্নার জন্য ভাড়ার ঘর থেকে নানা ধরনের খাদ্য উপাদান বুঝে নিতে হতো।

সকালের নাস্তর প্রস্তুতি হিসেবে প্রতিটি গ্লাস, কাপ, প্লেট, চামচ, সাবান জলে ভাল করে ধুয়ে মুছে ডাইনিং টেবিলে ও রান্না ঘর থেকে সব খাবার বয়ে টেবিলে সাজিয়ে রাখতো। সকালের নাস্তা ছিল ১/২ স্লাইস পাউরুটি, যা বি. হোমসের নিজস্ব বেকারিতে প্রতিদিন ফ্রেস বেক করা হতো।

আহা কি ঘ্রাণ! আর কি যে সুস্বাদু ছিল ওই পাউরুটি। আজ আর তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। শুধু তারাই এর মজা অনুধাবন করতে পারবেন, যারা সেটা একবার হলেও খেয়েছেন।

যাইহোক ওই পাউরুটির সঙ্গে থাকতো গরম গরম ধোয়াতোলা এক কাপ রঙ চা। ব্যাস এতটুকু। এই হালকা নাস্তা খেয়ে ক্লাসের ড্রেস পরে দুই বেনী ঝুলিয়ে মেয়েরা সব চলে যেত খেলার মাঠে। ড্রিল প্র্যাকটিস করতে।

ওদিকে ওই রান্নার মেয়েরা তখন সকালে ব্যবহৃত সব তৈজসপত্র সাবান জলে ভালো করে ধুয়ে মুছে ডাইনিং টেবিলে আবার সাজিয়ে রাখতো স্ন্যাক্স ব্রেকের জন্য। পাশাপাশি চলতো ডাইনিং হল ক্লিনিং আর নানা ধরনের সব রান্নার যোগানের কাজ।

বি. হোমসে রান্না হতো ডিজেলের চুলাতে। সুবিশাল সব হাড়ি পাতিল তাওয়া, কড়াই, খুন্তি, হাতা দিয়ে। হাত কেটে যেতে পারে এই শঙ্কায় ছাত্রীদের দিয়ে কাটানোর কাজ করা হতো না। আর রান্না হতো একেক হাঁড়িতে দুই থেকে আড়াই মণ চালের ভাত একসঙ্গে। রান্না শেষ হওয়ার পর ভাত ঢেলে দেওয়া হতো বড় বড় সব বাঁশের খাঁচিতে।

রান্নার এত বড় আয়োজন, শত শত কেজি তরকারি, আদা, রসুন, পেঁয়াজ কাটাসহ বাটনা বাটার জন্য নির্ধারিত শ্রদ্ধেয় ‘মাসী’রা নিয়োজিত ছিলেন। তারাই ওই কাজগুলো করতেন। এর বাইরে আরও কত যে কাজ রান্নার গ্রুপের মেয়েদের করতে হতো তা বলে শেষ করা যাবে না।

এরপর শুরু হতো স্ন্যাক্স ব্রেক। তখন দেওয়া হতো একচড়া (চাল-ডাল-সব্জি মিশিয়ে একটি ঝাউ সদৃশ পুষ্টিকর খাবার) বা গমের বা চালের খিচুড়ি। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো যে, এই আধভাঙা সোনালী দানার গমগুলো আনা হতো সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে। সাথে থাকতো বি. হোমসের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তৈরি করা ঘি, যার স্বাদ ছিল অমৃতেরও বেশি।

এরপর শুরু হতো দুপুরের খাবারের প্রস্তুতি। স্ন্যাক্স ব্রেকে ব্যবহৃত সব গ্লাস, কাপ-প্লেট, চামচ, বোনপ্লেট সাবান জলে ভালো করে ধুয়ে মুছে ডাইনিং টেবিলে আবারও সাজিয়ে রাখা হতো। পাশাপাশি রান্না ঘর থেকে হাতে হাতে ওরা সব খাবার সার্ভ করার জন্য ব্যবহৃত ছোট ছোট ভাত আর পাতলা ডালের জন্য বোল সদৃশ হাড়ি আর বাটিগুলো বয়ে এনে টেবিলে সাজিয়ে রাখতো।

বি. হোমসের ক্লাস ব্রেক, ক্লাস শেষ সবই হতো দুই ভাগে। প্রথমে ছোট ক্লাসের ছাত্রীদের ক্লাস ব্রেক। তারপর বড়দের। আবার প্রথমে ছোটদের ছুটি এবং খাওয়া। এরপর বড়দের। ফলে আপাত দৃষ্টিতে সারাদিনে পাঁচবার খাবারের আয়োজন করা হচ্ছে মনে হলেও আসলে তা করতে হতো মোট দশবার। এমনই করেই গড়িয়ে চলতো বি. হোমসের দৈনন্দিন জীবনের চাকা।

এরপর বিকেলের নাস্তা। রাতের খাবার। সারাদিনের খাবারের পাঠ চুকিয়ে শুরু হতো সর্বশেষ কঠিনতম কাজটি। আর তা হলো অতি বিরাটকায় ওই রান্না ঘর আর ওই সুবিশাল ডাইনিং হল সাবান জল দিয়ে ঝাড়–ব্রাশ, কাপড় দিয়ে ঘষে মেজে পরিষ্কার ঝকঝকে করা। আর সারাদিনে দশ দশবার ব্যবহৃত বিপুল সংখ্যক হাঁড়ি-পাতিল, গ্লাস, কাপ-প্লেট, চামচ, বোন প্লেট সাবান জলে মেজে ঘষে ধুয়ে কাপড় দিয়ে মুছে একটা একটা করে গণনা করে কর্তৃপক্ষকে তা সঠিকভাবে বুঝিয়ে দিতে হতো। কাজ শেষ করতে রাত প্রায় ১১/১২টা বেজে যেতো। এরপর আসতেন এই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কর্মযজ্ঞ তদারকি করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষিকারা। অবশ্যই তাদের শতভাগ মনঃপুত হতে হতো ওই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ।

প্রায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার এই কাজে সফল হতো রান্নার গ্রুপগুলো। তবে কখনো যদি কেউ উৎরাতে না পেরে অসফল হতো, সেক্ষেত্রে তখন ওই গ্রুপকে শাস্তিমূলকভাবে আবার এক্সট্রা আরেক দিন রান্নার ডিউটি দেওয়া হতো। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই শাস্তিটি পুরো গ্রুপের না হয়ে অসফল কোনো ১/২/৩ বা ৪ জনের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটতো। তবে তা হতো কদাচিৎ।

মোটা দাগে অল্প কথায় এটাই ছিল বি. হোমসের রান্নার ডিউটি উপাখ্যান। বিশদ লিখতে গেলে আরও অনেক অনেক বিষয়ের অবতারণা করতে হতো। যেটা হতো যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ।

এই করোনাকালে আসন্ন শীতে সবাই পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে নিরাপদে থাকুন। আনন্দ উল্লাসে কাটুক সুন্দর সময়। নিয়মিত মাস্ক পরুন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। পাশাপাশি ডেঙ্গু ও নিপাহ ভাইরাসের আক্রমণ থেকে নিজেকে ও পরিবারের সবাইকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন।

আপনার চেয়ে কষ্টে থাকা নিকট ও দুরের আত্মীয় স্বজনদের খোঁজ খবর রাখুন। তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ, বৃদ্ধ পঙ্গু বিশেষ করে বৃহন্নলাদের প্রতি সদয় থাকুন। যার যার সাধ্যমতো একেকটি পরিবার কর্তৃক একেকটি দরিদ্র পরিবারের ভাত-ডালের দায়িত্ব নেওয়া যেতে পারে। কেননা দশের লাঠি একের বোঝা।

এভাবেই একে-অপরের পাশে থেকে পেতে পারি আমরা একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও হাসিখুশি সমাজ। যেটা আমাদের ভারতেশ্বরী হোমসের প্রতিষ্ঠাতা ও আমাদের প্রিয় জ্যাঠামনি দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার আদর্শ ছিল।

লেখক: ভারতেশ্বরী হোমসের প্রাক্তন ছাত্রী ও সরকারের একজন যুগ্ম সচিব। 

ঢাকা/হাসনাত/মাহি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়