ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

নোবিপ্রবিতে আইনের লঙ্ঘন, স্বপদে বহাল নতুন ডিন

নোবিপ্রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০২, ২৭ জুন ২০২১  
নোবিপ্রবিতে আইনের লঙ্ঘন, স্বপদে বহাল নতুন ডিন

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) আইন অমান্য করে বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপককে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ডিন নিয়োগের দেড় মাস পার হলেও এই ডিনকেই স্বপদে বহাল রেখে অনড় অবস্থানে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আগামী ২ বছরের জন্য ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ও বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন ড. সেলিম হোসেনকে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন:

ডিন নিয়োগের বিষয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১ এর ২৩নং ধারার ৫নং উপধারা থেকে জানা যায়, প্রত্যেক অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে এবং ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক নির্দিষ্টকৃতভাবে অধ্যাপকের মধ্যে ইহার ডিন পদ আবর্তিত হইবে এবং তিনি দুই বৎসরের মেয়াদে তাহার পদে বহাল থাকিবেন।

আইনে আরও বলা হয়, ‌‌কোনো বিভাগে অধ্যাপক না থাকিলে সেই বিভাগের জ্যেষ্ঠতম সহযোগী অধ্যাপক ডিন পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হইবে এবং কোনো বিভাগের একজন অধ্যাপক ডিনের দায়িত্ব পালন করিয়া থাকিলে ওই বিভাগের পরবর্তী পালাসমূহে বাকী অধ্যাপকগণ জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ডিন পদে নিযুক্তির সুযোগ পাইবেন। একাধিক বিভাগে সম জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক অথবা সহযোগী অধ্যাপক থাকিলে সে ক্ষেত্রে তাহাদের মধ্যে ডিন পদের আবর্তনক্রম ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক নির্দিষ্ট হইবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের এই ডিন নিয়োগকে নিয়মবহির্ভুত বলছেন বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা। ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে তিনজন সহযোগী অধ্যাপক থাকার পরও অন্য একটি অনুষদ থেকে ডিন নিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলেও অভিযোগ করেছেন তারা।

অবৈধ ডিনে অটল থাকার বিষয়ে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আইন জানার পরও যা ভালো মনে করেছে তাই করেছে। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে অসম্মতি জানান ফ্যাকাল্টির অন্য দুই সহযোগী অধ্যাপক। তবে দেড় মাস আগে অবৈধ ডিন নিয়োগের পর তা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন ওই শিক্ষকরা।

এ বিষয়ে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, আইন অনুযায়ী অনুষদে ডিন হওয়ার মতো যোগ্য লোক থাকা সত্ত্বেও ভিন্ন অনুষদ থেকে ডিন নিয়োগ কতটা যুক্তিসংগত? আমরা চাই, সরকার কর্তৃক প্রণীত বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী যিনি ব্যবসা প্রশাসন অনুষদের ডিন হওয়ার যোগ্য, তাকেই নিয়োগ দেওয়া হোক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে বিজ্ঞান অনুষদ থেকে ডিন নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে উপাচার্য মহোদয়ের ক্ষমতা আছে বলেই তিনি দিয়েছেন। ডিন পরিবর্তন করার বিষয় নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আলোচনা শুনিনি।

উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ দিদার-উল-আলম বলেন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে কোনো অধ্যাপক না থাকায় ভিন্ন অনুষদের অভিজ্ঞ অধ্যাপককে আমরা সেখানে ডিন হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তবে বিবিএতে একাধিক সহযোগী অধ্যাপক থাকলেও তাদের বাইরে ডিন নিয়োগের কারণ হিসেবে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিপূর্বের ইতিহাস উল্লেখ করেন।

ফাহিম/মাহি 

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়