ইউল্যাবে জাতীয় শোক দিবস পালিত

ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে।

আজ শনিবার (১৪ আগস্ট)  বিকাল ৩:০০ টায় এক অনলাইনে উক্ত সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও ইউল্যাবের বাণিজ্য অনুষদের অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ইউল্যাবের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের বিশেষ উপদেষ্টা অধ্যাপক ইমরান রহমান, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. সামসাদ মর্তূজা, ট্রেজারার অধ্যাপক মিলন কুমার ভট্টাচার্য, রেজিস্ট্রার লে. কর্নেল (অব.) মোঃ ফয়জুল ইসলাম। আরও ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধানগন, শিক্ষক মন্ডলী, প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের স্মরণ ও তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর বাংলাদেশ টেলিভিশন নির্মিত  'বঙ্গবন্ধুঃ বজ্রে তোমার বাজে বাঁশি' তথ্যচিত্রটি প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানের মূল বক্তা  অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বিশ্বের ইতিহাসে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বা সন্ত্রাসের মাধ্যমে সরকার উৎখাত নতুন কোন বিষয় নয়, কিন্তু একটি দেশের জন্মদাতা, যিনি জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃত, তারই বিশ্বস্ত কিছু মানুষ গভীর ষরযন্ত্রের মাধ্যমে স্বপরিবারে তাঁকে হত্যা করবে এমনটা কখনো হয়নি। স্বাধীন দেশের জন্মদাতাকে হত্যা করা মানে সে দেশটিকে হত্যা করা, সে দেশের ইতিহাসকে হত্যা করা, যা ৭৫ এর ঘাতকরা চেষ্টা করেছিল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যেহেতু একটি আদর্শ অনুভূতির নাম, তাই ঘাতকরা তাদের সে লক্ষ্য পূরণ করতে সফল হয়নি, কেননা আদর্শকে কখনো হত্যা করা যায় না’।

জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের ঘটনা নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, যে বঙ্গবন্ধু সারাজীবন দেশের জন্য দিয়ে গেলেন, সেই বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে জীবন দিতে হলো। এরচেয়ে কলঙ্কময় অধ্যায় আর কিছু নেই।

অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন ইউল্যাবের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. সামসাদ মর্তূজা। তিনি অতিথিবৃন্দকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বড় দূর্বলতা ছিল তিনি সবাইকে বিশ্বাস করেছেন। তার আস্থা ছিল, এই লোকগুলো কখনো তার কোন ক্ষতি করবে না। অথচ এই আস্থার মূল্য তাঁকে জীবন দিয়ে দিতে হলো।