ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

তাদের চোখে বঙ্গবন্ধু

মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০৪, ১৫ আগস্ট ২০২১   আপডেট: ১৬:০৫, ১৫ আগস্ট ২০২১
তাদের চোখে বঙ্গবন্ধু

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীদের কাছে এক অনুপ্রেরণার নাম। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সৃষ্টির সাথে জড়িয়ে আছে জাতির অবিসংবাদিত নেতার নামটি। পরিতাপের বিষয় হলো, যুদ্ধকালীন পাকিস্তানিরা যা করতে পারেনি, কিছু দুর্নীতিবাজ সামরিক কর্মকর্তা তা করেছে, তারা স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছর পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে পরিবারসহ হত্যা করেছে।

তবে শেষ হয়ে যায়নি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। সেদিন তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা এসময় বিদেশে থাকায় বেঁচে গিয়েছিলেন। শোক দিবসে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া নারী শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও মতামত তুলে ধরেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ।

আরো পড়ুন:

আগস্টের শোক হোক বাঙালির শক্তি

‌‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ‌‌বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ এই একটি নামের সাথেই জড়িয়ে আছে বাঙালির শত বছরের আবেগ। ১৯৭৫ সালের ভয়াল সেই ১৫ আগস্ট, বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির বাসভবনে সপরিবারে খুন হওয়া এই নেতার মৃত্য শুধুই অপূরণীয় ক্ষতিই ছিল না, ছিল সদ্য স্বাধীনতা অর্জিত এক জাতির শত স্বপ্নের অবসান, ছিল অগ্রগামী জনতার দেশকে এগিয়ে নেওয়ার দৃঢ়প্রত্যয়ের পতন। 

বাঙালির সেই কালো অধ্যায়কে শ্রদ্ধাবোধে স্মরণ করে দেশের তরুণ প্রজন্ম উজ্জীবিত হোক দেশপ্রেমে। তাদের নেতৃত্বে সূচিত হোক নতুন ভোর, অন্তরে জাগ্রত হোক ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও দুর্নীতিমুক্ত বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণের দৃঢ় প্রত্যয়।

শাহিদা আরবী, শিক্ষার্থী, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়

বঙ্গবন্ধু আছেন, থাকবেন 

মুজিব নামের তরীটি বিপুল বিস্তার ও ত্যাগের সমুদ্রে ভাসমান ছিল, সে তরীর মানুষ কেবল বাংলার মানুষ। সে তরী স্রোতের বিপরীতে হলেও চালিয়ে নিয়েছেন, বিনির্মাণ করেছেন স্বাধীন রাষ্ট্রের। ১৫ আগস্ট সেই ভয়াল কালরাত্রে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। কারাজীবন, রাজনৈতিক ঘাত-প্রতিঘাত, বাঙালির সংগ্রাম-সংঘাত, ইতিহাসের নানা বাঁকবদল প্রভৃতি বিষয়ের আবদানে তিনি হয়ে উঠেছেন একজন আদর্শ বাঙালি ও মহান নেতা। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী কয়েকজনের ফাঁসি হয়েছে। কয়েকজন বিদেশে পালিয়ে আছে। তাদেরও অবিলম্বে ফিরিয়ে শাস্তি কার্যকর করতে হবে। 

সেই ভয়াল রাত্রে আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারালেও তাঁর সততা, দেশপ্রেম, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, সাহসী পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে আমরা খুঁজে পাবো তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশকে। জাতির পিতাকে হারানোর সেই দুঃসহ স্মৃতি আমাদের মনে যে বেদনার সৃষ্টি করে, আমরা সেটিকে অনুপ্রেরণা হিসেবে উপলব্ধি করি। তিনি বেঁচে আছেন এবং চিরকাল থাকবেন।

মোমেনা আক্তার, শিক্ষার্থী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

তরুণ মনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিফলিত হোক

স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের ইতিহাসে যার নামটি উজ্জল নক্ষত্রের মতো দীপ্যমান, তিনি হলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার আদর্শ ও চিন্তাভাবনা তরুণ প্রজন্মের জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎস। তার দূরদর্শী, বিচক্ষণ ও সঠিক নেতৃত্বেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। তরুণ প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু নিঃসন্দেহে একজন সেরা দেশপ্রেমিক। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন থেকে তরুণ প্রজন্ম অসীম সাহসিকতায় পথ পাড়ি দিতে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে, মানবতার সেবা করতে, মাথা নত না করে ন্যায়ের পথে চলতে আর আত্মবিশ্বাসী ও আত্মপ্রত্যয়ী হতে শেখে। 

বঙ্গবন্ধুর পথচলা তরুণদের অসাম্প্রদায়িকতা ও দুর্নীতিমুক্ত মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়তে তুলতে উৎসাহিত করে। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে হোক দেশ প্রেমের শিক্ষা। তরুণ প্রজন্মকেই শপথ নিতে হবে এই মহান নেতার নীতি ও আদর্শ ধারণ করে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার। 

তমা ইসলাম, শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

বাঙালির চিন্তা জগতে সদা জাগ্রত বঙ্গবন্ধু

বাঙালি, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শব্দ তিনটি একই সূত্রে গাঁথা।  এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ যেমন গুরুত্ব পেয়েছে, তেমনি বাঙালির চিন্তার জগতে সদা জাগ্রত রয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে অর্জন খুব একটা কম নয়। হয়তো অর্জন আরও বেশি হতে পারত। তবে যা হয়েছে, তা খুব সামান্যও নয়, এককথায় অসামান্য। তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো দেশটা আরও এগিয়ে যেতো। তার জীবনের প্রতিটি অধ্যায় থেকে আমাদের শেখার আছে অনেক। তিনিই আমাদের অনুপ্রেরণার বাতিঘর। তার সততা, দেশপ্রেম, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, সাহসী পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে আমাদের তরুণরা খুঁজে নেক আগামীর বাংলাদেশকে। 

আয়েশা সিদ্দিকা, শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

স্বাধীনতা, আদর্শ ও চেতনায় বঙ্গবন্ধু

যে নামটিকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশকে কল্পনা করা যায় না, তা হলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে মাত্র কয়েক বছরে যে অবস্থানে নিয়ে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধু, তা ছিল স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রথম ধাপ। ঘাতকদের ভয়াল থাবায় অপূরণীয় রয়ে গেলো জাতির পিতার অনেক স্বপ্ল। স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, অন্যায়ের সাথে আপোষহীন মনোভাব, বৈষম্যমুক্ত একটি স্বাধীন দেশের স্বপ্নের ফসল হচ্ছে আমাদের আজকের বাংলাদেশ। 

বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার স্বপ্ন ছিল একটি শোষণহীন, সাম্য, মানবিক মর্যাদাসম্পন্ন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার, যে রাষ্ট্রের কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে না, বেকারত্বের সমস্যা থাকবে না। তাঁর এ স্বপ্ন পূর্ণতা পাক অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে, বেকারত্বের সমস্যা দূরীকরণের মাধ্যমে এবং সাম্য, মানবিক মর্যাদাসম্পন্ন দেশ গঠনের মাধ্যমে, তাহলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্বাধীনতা সার্থক হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যার কয়েক যুগ পরও কোটি হৃদয়ে বিরাজমান জাতির পিতার আর্দশ। তার আর্দশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে তৈরি হবে এক স্বপ্নের বাংলাদেশ এমনটাই কাম্য।

ইসরাত জাহান চৈতী, শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে হোক দেশপ্রেমের শিক্ষা

স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের ইতিহাসে যার নামটি উজ্জল নক্ষত্রের মতো দীপ্যমান, তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার দূরদর্শী, বিচক্ষণ ও সঠিক নেতৃত্বেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। তরুণ প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু নিঃসন্দেহে একজন সেরা দেশপ্রেমিক। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন থেকে তরুণ প্রজন্ম অসীম সাহসিকতায় পথ পাড়ি দিতে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে, মানবতার সেবা করতে, মাথা নত না করে ন্যায়ের পথে চলতে আর আত্মবিশ্বাসী ও আত্মপ্রত্যয়ী হতে শেখে। তরুণ প্রজন্মের প্রতি বঙ্গবন্ধুর চোখ ছিল সবসময় কোমল। কারণ তিনি জানতেন, তরুণরাই তাদের সৃষ্টিশীল মেধা ও প্রচেষ্টাকে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম। 

মাহমুদা টুম্পা, শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

/মাহি/ 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়