ঢাকা     শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

৭০ শতাংশ ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট

জাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১১, ২৯ নভেম্বর ২০২৩  
৭০ শতাংশ ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট

প্রকৃতিতে প্রাপ্ত ব্যাকটেরিয়াগুলোর মধ্যে অধিকাংশ ব্যাকটেরিয়াই ৬০-৭০ শতাংশ অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট বলে জানা গেছে। এমনকি শেষ ধাপের জীবন রক্ষাকারী অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে বিবেচিত কার্বাপেনেম, কোলিস্টিনে কিছু ব্যাকটেরিয়া ৯০ শতাংশ রেজিস্ট্যান্ট। আরটি-পিসিআরসহ অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সংগ্রহকৃত ব্যাকটেরিয়া থেকে ১৯টিরও বেশি অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট জিন পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের তত্ত্বাবধানে এ গবেষণা কর্মটি সম্পন্ন হয়েছে। এ গবেষণার জন্য প্রকল্পটির প্রধান তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক ড. সালেকুল ইসলাম ও সহকারী তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক ড. শামসুন নাহারের তত্ত্বাবধানে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫৫ লক্ষ টাকা অনুদান দেয়া হয় বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) জাবির ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে ‘ওয়ান হেল্থ অ্যাসেসমেন্ট অব অ্যামার্জিং এন্টিমাইক্রোবায়াল রেজিস্ট্যান্স জিনস ইন বাংলাদেশি লাইভস্টোক, ফিডস অ্যান্ড ম্যানিউর’ শীর্ষক সেমিনারে গবেষকরা এসব তথ্য জানান।

জাবির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স এবং ইউনাইটেড স্ট্যাটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার অর্থায়নে সেমিনারটি আয়োজিত হয়।

গবেষকরা জানান, লাইভস্টোকের মোট ২৪০টি নমুনা থেকে ৩০টিরও বেশি জিনসহ মোট ২২৫টি ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত করা হয়েছে। মানুষের মোট ১১০টি ডাইরিয়াল নমুনা থেকে ৩০টিরও বেশি জিনসহ ১৪০টি ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত করা হয়েছে। প্রাপ্ত ব্যাকটেরিয়াগুলো মোট নয়টি অ্যান্টিবায়োটিক গ্রুপের ২০টি অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি ‘অ্যান্টিবায়োটিক অ্যাসসেপটিবিলিটি টেস্ট’ করা হয়েছে।

তারা আরও জানান, বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পোল্ট্রির ফিড, গোবর এবং জৈব সারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাপ্ত নমুনা থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া পৃথকীকরণের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়। এদের একটি বড় অংশ বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিকের (বিটা ল্যাকটাম, কাবোপেনেম, কোলিস্টিন) প্রতি রেজিস্ট্যান্ট।

প্রকল্পের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক ড. সালেকুল ইসলাম বলেন, যেসব ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার আগে থেকেই লক্ষণীয় ছিলো, সেসব ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সি বেশি দেখা গেছে। আরটি-পিসিআর নামক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অতি সূক্ষ্মভাবে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এর মাধ্যমে জিন উপস্থিতি শনাক্তকরণ ছাড়াও আণবিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রয়োগ, প্রোটিন শনাক্তকরণ, মিউটেশন, অণুজীবের উপস্থিতি নির্ণয় সম্ভব হয়েছে।

ওয়ার্ল্ড হেলথ্ এর পোস্ট ডক্টরাল ফেলো ড. সাবরিনা হোসাইন বলেন, গবাদিপশুর অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ইতিহাস এবং রেজিস্ট্যান্ট জিনগুলো কোন প্রক্রিয়ায় স্থানান্তর হচ্ছে তা শনাক্তকরণ করা জরুরি।

এসময় সেমিনারে আদ-দীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের প্রধান ড. কাজী সেলিম আনোয়ার বক্তব্য রাখেন।

/আহসান/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়