ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

প্রজেক্ট প্রদর্শনী প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাবিপ্রবি

হাবিপ্রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪১, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩  
প্রজেক্ট প্রদর্শনী প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাবিপ্রবি

ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) ডে উপলক্ষ্যে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) আয়োজিত প্রজেক্ট প্রদর্শনী প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম 'এইচএসটিইউ টেক টাইটানস'। শনিবার (২ ডিসেম্বর) রুয়েটের ইইই বিভাগ আয়োজিত এ প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।

আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রজেক্ট প্রদর্শনী প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪৭টি টিম অংশ নেয়। প্রতিযোগিতায় হাবিপ্রবির টিম টেক টাইটানসের হয়ে অংশ নেন ইসিই ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইরফান নাভিল, ফারিয়া গুলশান ও মুক্তি খান। তাদের প্রজেক্টের নাম ছিলো ‘সামজ.এএল’।

হাবিপ্রবি প্রতিযোগীরা জানান, তাদের প্রজেক্টটি ছিলো মুলত আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স বেইজড আর্টিকেল সামারাইজার। একটি ওয়েবসাইটের ইউআরএল লিংক এই সফটওয়্যারে (এসএএএস) এ দিলে তা সামারাইজ করে দেয়। সাধারণত চ্যাটজিপিটি অথবা অন্য কোনো এআই চ্যাটবুট কোনো ইউআরএল ব্যাবহার করে তার ওয়েবপেইজে থাকা ওপেন সোর্স আর্টিকেলকে সামারাইজ করতে পারে না। তবে তাদের উদ্ভাবিত প্রজেক্টের মাধ্যমে এ জাতীয় সমস্যার সমাধন করতে তারা সক্ষম হয়েছেন।

তারা আরও জানান, তাদের এই এআই সফটওয়্যারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষক, ছাত্র, গবেষকদের রিসার্চের কাজে সহায়ক হিসেবে কাজ করা। সাধারণত রিসার্চ করার আগে যেকোনো একটি বিষয়ের উপর অনেক আর্টিকেল পড়তে হয়। কিন্তু এই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের যুগে মেটা ডেটা এক্সট্র‍্যাকশনের কারণে অনলাইনে অপ্রয়োজনীয় অসংখ্য ডাটা থাকে, যা মূলত ক্লিক বাইটিং ট্র‍্যাপ। যা আমাদের রিসার্চে পার্থক্য ক্রিয়েট করে। এই সফটওয়্যারটি সব সময় মূল উপাত্তটি দেয়। ধারণা করা হচ্ছে এই প্রতি আর্টিকেলে ৬ মিনিট করে সময় সাশ্রয় হয়। যা রিসার্চের ক্ষেত্রে ইফিসিয়েন্সি বাড়িয়ে দেয়।

প্রতিযোগী ইরফান বলেন, আমরা আমাদের বিভাগ ও ক্লাবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আসলে রুয়েটের ইইই ডে’তে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।

মুক্তি খানের কণ্ঠেও একই প্রতিক্রিয়া। তিনি বলেন, এই প্রথম ক্যাম্পাসের বাইরে প্রজেক্ট নিয়ে কোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা। পুরষ্কার জিতবো আশা ছিলো, কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হবো এটা ভাবিনি। খুশি এবং ভালোলাগার সঙ্গে অনেক অভিজ্ঞতার সঞ্চয় হয়েছে, যা আমাকে পরবর্তী কাজের অনুপ্রেরণা যোগাবে।

টিমের অরেক সদস্য ফারিয়া গুলশান বলেন, নিজের ক্যাম্পাসকে  রিপ্রেজেন্ট করতে ভালো লাগছিলো। প্রায় দেড় মাসের পরিশ্রমের ফল। এ ধরনের প্রতিযোগিতা আমাদের অভিজ্ঞতা বাড়ায়।

/সংগ্রাম/মেহেদী/

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়