ঢাকা     শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের অনশন

রাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪৪, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  
পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের অনশন

পরীক্ষায় অংশগ্রহনের দাবিতে গণঅনশন শুরু করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গ্রাফিক্স ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের ২০২১–২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) থিসিস ও নন–পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে এ কর্মসূচি করে তারা।

অনশন কর্মসূচিতে 'চারুকলায় অন্যায় চলে, ভিসি স্যার ঘুমাচ্ছেন কেমন করে', 'সন্দেহজনক সিগনেচার, শিক্ষার্থীদের উপর অত্যাচার', 'নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে, শিক্ষক আসেন ১২টার পরে', 'কর্মচারী দিয়ে  উপস্থিতি, প্রশাসনে আছে কি এই রীতি?', 'দিনের পর দিন শিক্ষকের মানসিক অত্যাচার, কে করবে এর বিচার?' ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন শিক্ষার্থীরা।

তাদের দাবি, ১২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে দুইজন কলেজিয়েট, দুইজন নন–কলেজিয়েট এবং বাকি আটজনকে ইচ্ছাকৃতভাবে কম উপস্থিতি দেখিয়ে ডিস-কলেজিয়েট করা হয়েছে। এই মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে চারজনকে আবার একদিনের মধ্যে ফরম পূরণ করিয়ে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

অনশনরত মেহেদী হাসান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা অনশনে বসেছি পরীক্ষা অংশগ্রহণ করার দাবিতে। আমাদের শ্রেণী শিক্ষক মনির উদ্দিন দিনের পর দিন আমাদের ওপর মানসিক অত্যাচার করেছেন। অত্যাচারের চূড়ান্ত পর্যায়ে তিনি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাদের ডিস-কলেজিয়েট করেছেন। আবার তিনি নিজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের তোয়াক্কা না করে বিভাগের আসেন দুপুরে। কাঠমিস্ত্রী এবং তার কিছু গুপ্তচর শিক্ষার্থীদের কথা শুনে অ্যাটেনডেন্স দেন। তিনি বারবার- 'তোমরা কীভাবে পরীক্ষা দাও আমি দেখে নিব' বলে হুমকি দিতেন। এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন নিয়মের মধ্যে আছে, আমার জানা নেই। আমরা অত্যাচারের সর্বোচ্চ অবস্থায় আজকে এখানে বসেছি আমরা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, তারা ক্লাস শুরুই করেছে দেরিতে। ডিস কলেজিয়েট হয়ে এখন যা খুশি বলছে। তবে আমি নিয়মিত আমার ক্লাস নিয়েছি। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।

অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ–উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, এ বিষয়ে কয়েকদিন ধরে ডিনের সঙ্গে আমার কথা হচ্ছে। বিষয়টা সমাধানের জন্য আলোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ে একটা তদন্ত কমিটি করা হবে। যদি বিভাগের কোনো দায় থাকে, তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

/শাকিবুল/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়