ঢাকা     রোববার   ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ২৩ ১৪৩১

ভর্তির যোগ্যতা ও আসনসংখ্যা প্রকাশ করেছে হাবিপ্রবি

হাবিপ্রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৩, ২০ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ১৩:১৪, ২০ এপ্রিল ২০২৪
ভর্তির যোগ্যতা ও আসনসংখ্যা প্রকাশ করেছে হাবিপ্রবি

২০২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক লেভেল-১ এ ভর্তির যোগ্যতা ও আসন সংখ্যা প্রকাশ করেছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়  প্রাথমিক যোগ্যতা হিসেবে উল্লেখ করেছে ২০১৯, ২০২০ বা ২০২১ সালের মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ২০২২ বা ২০২৩ সালের উচ্চমাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের জিপিএ ৫.০০ স্কেলে প্রতিটিতে ইউনিট-এ (বিজ্ঞান শাখা) এর জন্য ন্যূনতম ৩.৫০ সহ মোট ৮.০০ জিপিএ, ইউনিট-বি (মানবিক শাখা) এর জন্য ন্যূনতম ৩.০০ সহ মোট ৬.০০ জিপিএ থাকতে হবে এবং ইউনিট-সি (বাণিজ্য শাখা) এর জন্য ন্যূনতম ৩.০০ সহ মোট ৬.৫০ জিপিএ থাকতে হবে।

ও-লেভেল এবং এ-লেভেল শিক্ষার্থীদের জন্য ও-লেভেল পরীক্ষায় কমপক্ষে তিনটি বিষয়ে বি-গ্রেডসহ পাঁচটি বিষয়ে পাস এবং এ-লেভেল পরীক্ষায় কমপক্ষে দুটি বিষয়ে বি-গ্রেডসহ তিনটি বিষয়ে পাস থাকতে হবে।

জিএসটি গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত এ, বি ও সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম ৩৫ নম্বর এবং কোটায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম ৩০ নম্বর পেতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আটটি অনুষদের ২৩টি ডিগ্রির জন্য ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক পর্যায়ে বিভিন্ন অনুষদে সর্বমোট ১৫২৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন।

কৃষি অনুষদে ৩০০ জন, ফিশারিজ অনুষদে ৮০ জন, ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সাইন্স অনুষদে ৮০ জন, কম্পিউটার সাইন্স ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদে ১৫০ জন, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদে ২১০ জন, বিজ্ঞান অনুষদে ২৭০ জন, সোস্যাল সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিস অনুষদে ২৩৫ জন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদে ২০০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন।

সেক্ষেত্রে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৫০ জন, ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৫০ জন, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৫০ জন, ফুড অ্যান্ড প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৫০ জন, এগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৫৫ জন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৪০ জন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৪০ জন,আর্কিটেকচার বিভাগে ২৫ জন,রসায়ন বিভাগে ৬৫ জন, পদার্থবিদ্যা বিভাগে ৬৫ জন, গণিত বিভাগে ৭০ জন, পরিসংখ্যান বিভাগে ৭০ জন, ইংরেজি বিভাগে ৭০ জন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ৬০ জন, অর্থনীতি বিভাগে ৭০ জন, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে ৩৫ জন, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগে ৫০ জন, ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ৫০ জন, মার্কেটিং বিভাগে ৫০ জন এবং ফাইন্যান্স বিভাগে ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন।

নির্দিষ্ট অনুষদ এবং বিভাগে ভর্তির সুযোগ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু শর্ত। কৃষি, ফিশারিজ এবং ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স অনুষদে ভর্তির জন্য অবশ্যই জীববিজ্ঞান বিষয়ের উপরে উত্তর করতে হবে এবং ঋণাত্মক নম্বর গ্রহণযোগ্য নয়। এইচএসসিতে জীববিজ্ঞানে জিপিএ-৫ স্কেলে  সর্বনিম্ন জিপিএ ৩.৫০ পেতে হবে। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদে ভর্তির সুযোগ প্রাপ্তির জন্য অবশ্যই গণিত বিষয়ের উপরে উত্তর করতে হবে এবং ঋণাত্মক নম্বর গ্রহণযোগ্য নয়। এইচএসসিতে গণিতে জিপিএ-৫ স্কেলে  সর্বনিম্ন জিপিএ ৩.৫০ পেতে হবে।

বিজ্ঞান অনুষদে রসায়ন বিভাগে ভর্তির সুযোগ প্রাপ্তির জন্য এইচএসসিতে রসায়নে জিপিএ-৫ স্কেলে  সর্বনিম্ন জিপিএ ৩.৫০ পেতে হবে এবং পদার্থবিদ্যা, গণিত, পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তির সুযোগ প্রাপ্তির জন্য অবশ্যই গণিত বিষয়ের উপর উত্তর করতে হবে এবং ঋণাত্মক নম্বর গ্রহণযোগ্য নয়। এইচএসসিতে গণিতে জিপিএ-৫ স্কেলে  সর্বনিম্ন জিপিএ ৩.৫০ পেতে হবে।

সোস্যাল সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিস অনুষদে ভর্তির সুযোগ প্রাপ্তির জন্য এইচএসসিতে ইংরেজিতে  জিপিএ-৫ স্কেলে সর্বনিম্ন জিপিএ ৩.০০ পেতে হবে।

বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ এবং সোস্যাল সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিস অনুষদভুক্ত ডিগ্রিতে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগে বিজ্ঞান শাখার ১২ জন, মানবিক শাখার আটজন এবং বাণিজ্য শাখার ৩০ জনসহ মোট ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন। ম্যানেজমেন্ট বিভাগে বিজ্ঞান শাখার ১২ জন, মানবিক শাখার আটজন এবং বাণিজ্য শাখার ৩০ জনসহ মোট ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন।

মার্কেটিং বিভাগে বিজ্ঞান শাখার ১২ জন, মানবিক শাখার আটজন এবং বাণিজ্য শাখার ৩০ জনসহ মোট ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন। ফাইন্যান্স বিভাগে বিজ্ঞান শাখার ১২ জন, মানবিক শাখার আটজন এবং বাণিজ্য শাখার ৩০ জনসহ মোট ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন। ইংরেজি বিভাগে বিজ্ঞান শাখার ২৬ জন, মানবিক শাখার ৩৫ জন এবং বাণিজ্য শাখার নয়জনসহ মোট ৭০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগে বিজ্ঞান শাখার ২০ জন, মানবিক শাখার ৩০ জন এবং বাণিজ্য শাখার ১০ জনসহ মোট ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন। অর্থনীতি বিভাগে বিজ্ঞান শাখার ৪০ জন, মানবিক শাখার ২০ জন এবং বাণিজ্য শাখার ১০ জনসহ মোট ৭০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন। এছাড়া ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে বিজ্ঞান শাখার ১৫ জন, মানবিক শাখার ১৫ জন এবং বাণিজ্য শাখার পাঁচজনসহ মোট ৩৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে যথাক্রমে কোটার হার থাকছে- মেধা ও মুক্তিযোদ্ধা ৫ শতাংশ, আদিবাসি/উপজাতি ১ শতাংশ এবং পোষ্য কোটা ১ শতাংশ। এছাড়া প্রতিবন্ধী কোটায় একজন এবং বিকেএসপি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পাঁচটি আসন সংরক্ষিত থাকবে। কোটা যোগ্য ছাত্র-ছাত্রী পাওয়া না গেলে, তা মেধাতালিকা থেকে পুরণ করা হবে। এছাড়াও উপর্যুক্ত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যার অতিরিক্ত হিসেবে বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সর্বোচ্চ ৮০টি আসন সংরক্ষিত থাকবে।

উল্লেখ্য, আগামী ২৭ এপ্রিল 'এ' ইউনিট, ৩ মে ‘বি’ ইউনিট এবং  ১০ মে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

/সংগ্রাম/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়