ঢাকা     বুধবার   ২১ মে ২০২৫ ||  জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩২

কুবি শিক্ষার্থীকে বুলিংয়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন

কুবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০৭, ১৩ জুলাই ২০২৪  
কুবি শিক্ষার্থীকে বুলিংয়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের নারী শিক্ষার্থী ফাতেমাতুজ জহুরা মিমকে বুলিং করার অভিযোগ এবং এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে। শনিবার (১৩ জুলাই) পৌঁনে ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির পাদদেশে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের নারী শিক্ষার্থী ফাতেমাতুজ জহুরা মিম কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি এ বিষয়ে ফেসবুকে লেখালেখি করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুর বিশ্বাস তাকে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনের আয়োজন করে অভিযুক্ত আমিনুর বিশ্বাসের বিচার দাবি করেন। একইসঙ্গে কুবি প্রশাসনকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান। 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সহপাঠী আসাদ আরাফাত বলেন, আমিনুর বিশ্বাস আমার সহপাঠীকে সাইবার বুলিং করেন। তার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মতো একটা সংগঠনের সভাপতি হয়ে তিনি এ ধরনের কাজ করেছেন, যা খুবই নিন্দনীয়। তার মতো একজন ঘৃণ্য ব্যক্তি ছাত্রলীগের নেতা হন কী করে? প্রশাসনের কাছে তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার দাবি জানাচ্ছি।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ মিয়া কাওছার বলেন, সভ্যতা গড়ে উঠতে নারী-পুরুষের সমান অবদান আছে। গত ১১ জুলাই পুলিশি হামলার প্রতিবাদে ফাতেমাতুজ-জহুরা মিম আপুর সাহসী নেতৃত্বে কুবি শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবস্থান নেয়। আমিনুর বিশ্বাস সেটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিতে আমাদের লজ্জা করে।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সোনিয়া আক্তার বলেন, আমিনুর বিশ্বাসের এ ধরনের কর্মকাণ্ড এবারই প্রথম নয়। আমিসহ আমার মেয়ে সহপাঠীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ কথা বলতেন। আমরা চাই, তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হোক। যাতে কোনো নারী শিক্ষার্থী তার হেনস্তার শিকার না হয়।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলার পর শিক্ষার্থীরা দলে দলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দিতে থাকে। সেখানে ফাতেমাতুজ-জহুরা মিমও আন্দোলনে যোগ দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুবি ছাত্রীদের সাহসিকতার খবর ছড়িয়ে পড়লে আমিনুর বিশ্বাস তাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। পরে ফাতেমাতুজ জহুরা মিমকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন।

/এমদাদুল/মেহেদী/

ঘটনাপ্রবাহ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়