ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

আবারও ট্রেন আটকে দিলেন বাকৃবি শিক্ষার্থীরা 

বাকৃবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫৩, ১৬ জুলাই ২০২৪  
আবারও ট্রেন আটকে দিলেন বাকৃবি শিক্ষার্থীরা 

সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা প্রথা সংস্কার এবং সারাদেশে শিক্ষার্থীর উপর হামলার প্রতিবাদে পঞ্চম দিনের মতো ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকাগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেন অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, দুপুর ৩ দিকে বিভিন্ন হল থেকে মুক্তমঞ্চে এসে সমবেত হন শিক্ষার্থীরা। এরপর সব গ্রেডে (৯ম-২০তম) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে, সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে জরুরি অধিবেশন আহবান এবং সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে বাকৃবি শিক্ষার্থীরা মুক্তমঞ্চ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। মিছিলটি কে.আর মার্কেট হয়ে আব্দুল জব্বার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। 

পরে বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রেললাইন অবরোধের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু রেললাইনে আগেই অবস্থান করেছিলো বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী। তবে আন্দোলনকারীরা রেললাইন অবরোধ করতে চাইলে বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগ বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি ছাড়াই রেললাইন থেকে চলে যায়। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ঢাকাগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেন আটকে দেয়। শিক্ষার্থীরা রেললাইনে বসে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকে।


 
বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী মালিহা মাশরাত বলেন, আজকে যৌক্তিক আন্দোলনে আমার ভাই-বোনদের রক্ত ঝরছে। এ কেমন স্বাধীনতা, এই কেমন বাংলাদেশ। আন্দোলনে রক্ত ঝরায় দেশের পতাকার সম্মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে। যে ভাই আজ মাথায় পতাকা বেধে আন্দোলন করছে, তার মাথায় আঘাত করা হচ্ছে, পিটুনি দেওয়া হচ্ছে। যৌক্তিক দাবিতে তাদের দেহের রক্ত ঝরছে। একদম স্পষ্ট করে বলতে চাই আর একজনের দেহের রক্ত যদি ঝরে, বাকৃবিসহ সারা বাংলার ছাত্রসমাজ জিরো টলারেন্স নীতিতে দাঁড়াবে। 

কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ওয়াহিদা আঞ্জুম রিস্তা বলেন, আমি সব সময় মুক্তিযুদ্ধের পরিবারের সদস্য হিসেবে গর্বিত ছিলাম। কিন্তু আমার এখন লজ্জা লাগছে যে, আমার জন্য আমার ভাইয়েদের রক্ত ঝরছে। আমি আমার ভাইদের অধিকার, বোনদের অধিকার হরণ করে এই কোটা চাই না। আমি চাই এর একটা বিহিত হোক, কোটা সংস্কার হোক।

/লিখন/মেহেদী/

ঘটনাপ্রবাহ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়